ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিআইইউতে আনন্দমুখর পরিবেশে ‘ওপেন ডে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
সিআইইউতে আনন্দমুখর পরিবেশে ‘ওপেন ডে’ ওপেন ডে’র উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৯ সালের সামার সেমিস্টারের ‘ওপেন ডে’।

একদিকে উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত সাবজেক্টে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা। সকাল থেকেই দলে দলে যেন ভিড় বাড়তে থাকে নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে।

বিপুল উৎসাহ আর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে যথাসময়ে হাজির হন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

বেলুন উড়িয়ে ওপেন ডে’র উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, একটি আইডল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিআইইউকে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। কেবল বাংলাদেশ নয়, দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, যুগোপযুগী সিলেবাস, কর্মমুখী শিক্ষা, স্কলারশীপসহ নানামুখী উদ্যোগের কারণে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা বেড়েছে দ্বিগুণ। উচ্চশিক্ষার প্রসারে সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই বলে এ সময় মন্তব্য করেন উপাচার্য।

সিআইইউর প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল হক খান, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, বিজনেস স্কুলের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আইয়ুব ইসলাম, স্কুল অব ল-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।  

কর্তৃপক্ষ জানান, সিআইইউতে বিজনেস স্কুল, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ও স্কুল অব ল-প্রোগ্রামের অধীনে রয়েছে একাধিক সব সাবজেক্ট।

ওপেন ডে উপলক্ষে ছিল নানা আয়োজন। যার মধ্যে রয়েছে: আলাদা স্টল, স্পট অ্যাডমিশন, সেমিস্টার ফি ওয়েবার, শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যারিয়ার আড্ডা, ক্যাম্পাস জবের তথ্য, স্কলারশীপ, ক্যাম্পাস ট্যুর, বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথশিক্ষা কার্যক্রমের তথ্যসহ অনেক কিছু।

আয়মান আমীন ইতু নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমার ভীষণ ইচ্ছে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেওয়ার। তাই ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে চাই। ক্যাম্পাসটা একটু ঘুরে দেখলাম। দারুণ ভালো লাগলো।

একই রকম অনুভূতির কথা জানান ফারজানা ইয়াছমিন, সদরুল আমিন নামের অন্য দুই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীও।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।