শেষমুহূর্তে শরীর চাঙা রাখতে ব্যস্ত নানা বয়সী বলীরা। শারীরিক কসরত, নেচে নেচে সবাইকে মুগ্ধ করছেন তারা।
খেলা পরিচালনার জন্য প্রস্তুত মূল রেফারি সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক।
বিকেল চারটায় বলীখেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করবেন মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি থাকবেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার অ্যান্ড ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান।
১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে এ প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলীখেলা নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। প্রতি বছর ১২ বৈশাখ নগরের লালদীঘি মাঠে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় ‘বলী’। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘কুস্তি’ বলীখেলা নামে পরিচিতি।
এবার বলীখেলায় চ্যাম্পিয়নকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানারআপকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হবে। অন্য বলীদের নগদ ১ হাজার টাকা ও একটি করে ট্রফি দেওয়া হয়।
মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। টেকনাফের শামসু বলী অংশগ্রহণের কথা রেফারি আবদুল মালেককে জানিয়েছেন ফোনে।
বলীখেলাকে ঘিরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) লালদীঘির চারপাশে এক বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বসেছে তিনদিনের বৈশাখী মেলা। সুঁই থেকে ফুলশয্যার খাট পর্যন্ত সব ধরনের গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী মিলছে মেলায়। বেশি বিক্রি হচ্ছে মাটির তৈজসপত্র, বাঁশি, শিশু-কিশোরদের খেলনা, ফুল ও শলার ঝাড়ু, শীতলপাটি, হাতপাখা, গাছের চারা, মুড়ি-মুড়কি, শাড়ি, তৈরি পোশাক ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি