ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জব্বারের বলীখেলা বৃহস্পতিবার, লোকজপণ্যের হাট লালদীঘিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
জব্বারের বলীখেলা বৃহস্পতিবার, লোকজপণ্যের হাট লালদীঘিতে বৈশাখী মেলায় পণ্য দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: শতবছরের ঐতিহ্য জব্বারের বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদীঘি ও আশপাশের এলাকায় শুরু হয়েছে বৈশাখী মেলা। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রকমারি লোকজপণ্যের পসরা নিয়ে মেলায় আসতে শুরু করেছেন বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে লালদীঘি মাঠে জব্বারের বলীখেলার ১১০তম আসর বসবে। আসরের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।  

বলীখেলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকেই লালদীঘি এলাকায় বসেছে লোকজপণ্যের হাট।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিকিকিনি জমজমাট হয়ে না উঠলেও গৃহস্থালি পণ্য কিনতে ক্রেতাদের আনাগোনা ক্রমশ বাড়ছে।

বৈশাখী মেলায় পণ্য নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতা।  ছবি: সোহেল সরওয়ারমেলায় বিক্রির জন্য এসেছে গৃহস্থালীর নানা প্রয়োজনীয় পণ্য। দা-বঁটি, হাতপাখা, শিশুদের রকমারি খেলনা, ফুলঝাড়ু, শীতলপাটি, গাছের চারা, মুড়ি-মুড়কি, মাটির ব্যাংক, শোপিস, হাতি-ঘোড়া, ফুলের টব থেকে শুরু করে কাঠের হাট রয়েছে এর মধ্যে।

কুমিল্লা থেকে মাটির তৈরি নানা পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছেন আকবর খান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ২০ বছর ধরে জব্বারের বলীখেলা উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় আসছি। এবারও ঘর সাজানোর মাটির তৈরি নানা পণ্য নিয়ে এসেছি। ক্রেতাদের অপেক্ষায় আছি।

আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলার ১১০তম আসরের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর ও সফল বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা আমরা উপহার দিতে পারবো।

১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে বলীখেলা প্রতিযোগিতার সূচনা করেন।

তার মৃত্যুর পর এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতি বছর ১২ বৈশাখ নগরের লালদীঘি মাঠে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় ‘বলী’।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘কুস্তি’ বলীখেলা নামে পরিচিতি। এ বলীখেলাকে ঘিরে প্রতি বছরই তিন দিনের মেলা বসে। মেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় রকমারী পণ্যের পসরা নিয়ে আসেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।