ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আহত ওসি সদীপ কুমার দাশ ও এএসআই মিটু দাশ

চট্টগ্রাম: ‘গণপিটুনিতে’ আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল ‘নিহত হওয়ার’ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি জাবেদ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।

এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আরো তিন পুলিশ আহত হয়েছে।

এরা হলো- উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিটু দাশ ও কনস্টেবল আল আমিন । এদের মধ্যে ওসি সদীপ কুমার দাশকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে তাকে পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রবিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছোঁড়ে আসামিরা। আত্মরক্ষর্থে পুলিশও গুলি ছুঁড়লে আহত হয় জাবেদ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।  
নিহত জাবেদ মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। মহিউদ্দীন সোহেলকে জাবেদ ছুরিকাঘাত করে বলে আসামিদের জবানবন্দিতে জানা যায়।

গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে ‘গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল’। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশের পক্ষ থেকে মহিউদ্দিন সোহেলকে ‘সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ’ হিসেবে দাবি করা হয়।

কিন্তু ৮ জানুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির দাবি করেন মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পেছনে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদ, জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ কয়েকজন জড়িত বলে দাবি করা হয়।

৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ডবলমুরিং থানায় মহিউদ্দিন সোহেল ‘নিহত হওয়ার’ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির।

মামলায় ২৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।