ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউএনওর উদ্যোগ

পাকা হচ্ছে বেড়ায় তৈরি জীর্ণ বিদ্যালয় ঘরটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
পাকা হচ্ছে বেড়ায় তৈরি জীর্ণ বিদ্যালয় ঘরটি বেড়ায় তৈরি জীর্ণ বিদ্যালয় ঘর। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি বিদ্যালয় ঘরটি ব্যবহার অনুপযোগী হয় ২০১২ সালে। এরপর জোড়াতালি দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা হলেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি হাটহাজারীর সন্দ্বীপ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

ভাঙা দরজা-জানালা, বেড়া পচে নষ্ট কক্ষ বিভাজক, জীর্ণ টিনের ফুটো দিয়ে পড়া বৃষ্টির পানিকে সঙ্গী করেই শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখেন তারা।

তবে দীর্ঘদিনের জীর্ণ বিদ্যালয় ঘরটি এবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জীর্ণ বিদ্যালয় ঘরটি ভেঙে সেমি পাকা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।

সন্দ্বীপ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা খানম বাংলানিউজকে জানান, ১৯৯৭ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন নামে একটি সংস্থার সহায়তায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

তারাই বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি বিদ্যালয় ঘরটি নির্মাণ করেন। কিন্তু ২০০৭ সালে সংস্থাটি বিদ্যালয় থেকে তাদের সহায়তা প্রত্যাহার করে নিলে সংকট শুরু হয়।

তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে ২০১২ সাল থেকে স্কুল ঘরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠে। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় অন্য শিক্ষকরাও স্কুল ছেড়ে দেন। ফলে জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

‘তবে ইউএনও স্যারের উদ্যোগের ফলে প্রায় ২২ বছর পর আমরা একটি সেমি পাকা বিদ্যালয় ভবন পাচ্ছি। স্কুলটি দ্রুত সরকারি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও স্যার দিয়েছেন। এটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের আর সংকট থাকবে না। ’ যোগ করেন হাসিনা খানম।

ইউএনও মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভা এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন জীর্ণ অবস্থা দেখে আফসোস হয় খুব। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জীর্ণ বিদ্যালয় ঘরটি ভেঙে একটি সেমি পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিই। আগামী ১ মাসের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে।

তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন- দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ জন্য আপাতত নিজের বেতন থেকেই কিছু টাকা তাদের সম্মানী বাবদ দেবো বলেছি। তবে স্কুলটির সব সমস্যার স্থায়ী সমাধান আসবে এটি সরকারিকরণ হলে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad