ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে পদায়ন করেন জিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে পদায়ন করেন জিয়া বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

চট্টগ্রাম: ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান প্রথমে আত্মস্বীকৃত খুনিদের বড় পদে পদায়ন করেন। বিদেশি দূতাবাসে নিয়োগ দেন। যারা প্রত্যক্ষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের মন্ত্রিসভার সদস্য করলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করলেন’।

‘বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের সংবিধান সাগরে ফেলে দিলেন। আবার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করলেন।

জামায়াতের আমির গোলাম আজমকে টেনে আনলেন, পরে নাগরিকত্ব দিলেন। ’

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, বীর চট্টলার অনেক খ্যাতিমান নেতা বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অনেক বড় সংগঠক ছিলেন। দিতে আসছি নিতে আসিনি-এটি ছিল রাজনীতিকের কথা।

শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগের নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল অলিখিতভাবে সেদিন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করলেন জাহানারা ইমাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন। ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করতে হয় না। কোথায়, কখন, কী করতে হবে তিনি জানেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন-দেশ যদি স্বাধীন হয় মানুষ খেয়ে পরে বাঁচবে। তিনি সংবিধানে মৌলিক অধিকারের কথা লিখে গেছেন। এগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভ্যানগার্ড হিসেবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি শক্তি জুগিয়েছিল। আগামীতেও শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহসী ভূমিকা রাখবে, পাশে থাকবে। স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখবে।

সভায় নতুন কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম চৌধুরীসহ সদস্য ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।