বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছেন আসামি মোহাম্মদ মুন্না (২৫)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে মোহাম্মদ মুন্না স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে বাংলানিউজকে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমির হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের হালিশহর এলাকা থেকে মোহাম্মদ মুন্নাকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
বুধবার রাতে চান্দগাঁও থানাধীন খড়মপাড়া ওসমান হাজীর বাড়িতে মুন্নার ছুরিকাঘাতে নিহত হন তার ভাই মোহাম্মদ সাজু (২৮)।
এসআই মো. আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘জবানবন্দিতে মুন্না জানিয়েছে- মুন্নার ১০ পিস ইয়াবা সাজুর কাছে ছিল। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সাজুর কাছে ইয়াবাগুলো ফেরত চায় মুন্না। কিন্তু সাজু ইয়াবাগুলো সেবন করে ফেলে। এ নিয়ে মঙ্গলবার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ফের বুধবার সাজুর কাছে ইয়াবাগুলো ফেরত চায় মুন্না। তখন সাজু মুন্নাকে মারতে আসে। এ সময় মুন্না তার কাছে থাকা টিপ ছুরি দিয়ে সাজুকে আঘাত করে। ’
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাজু ও মুন্না দুই ভাই-ই মাদকাসক্ত ও বিক্রেতা। তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও মাদকের সঙ্গে জড়িত। মূলত মাদক নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এসকে/টিসি