বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সিডিএ কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে ১০ বছর পর পদোন্নতি দেওয়া হলেও প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করতে গড়িমসি করছে কর্তৃপক্ষ।
কয়েকজন কর্মচারী নেতা জানান, ১০ বছর পর পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে দফতরে গেলে সিডিএর সচিব তাহেরা ফেরদৌস এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে রাজী হননি।
বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন সিডিএর বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৌশল, পরিকল্পনা, প্রশাসন ও হিসাব শাখায় কর্মরতদের আলাদাভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
‘প্রকৌশল শাখায় অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাই বেশিরভাগ কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়নি। পরিকল্পনা, প্রশাসন ও হিসাব শাখায় নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ’
আগে থেকেই ঘোষণা ছিল মামলা রয়েছে এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়া হবে না।
তবে অনেকে জানিয়েছেন, মিথ্যে অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
প্রকৌশল শাখার এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, মিথ্যে অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ অজুহাতে ১০ বছর পর পেতে যাওয়া পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে সভা শেষে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাউকে নিরাশ করা হয়নি।
‘যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদেরকে পদোন্নতির আওতায় রাখা হয়নি। এ ছাড়া যোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ’ যোগ করেন আবদুচ ছালাম।
রাত ৮টার দিকে পদোন্নতি কমিটির আহ্বায়ক ও সিডিএর বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন শাহ বাংলানিউজকে বলেন, ৭০ থেকে ৮০ জনের পদোন্নতি হয়েছে।
‘চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারীর পদোন্নতি হয়নি। কারণ এদের অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা পাওয়া যায়নি। ’
তিনি বলেন, কমিটি পদোন্নতির জন্য শর্ত পূরণের সুপারিশ করেছে। শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পরীক্ষার মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতি দিতে বলা হয়েছে। ’
তালিকা প্রকাশে গড়িমসির ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন শাহ বলেন, যারা পদোন্নতি পেয়েছেন তাদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে সিডিএ কর্মচারী শ্রমিক লীগের সভাপতি নাছির আহম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, বোর্ড সভায় প্রশাসনের কাউকে রাখা হয়নি। দুপুরে বোর্ড সভা শেষ হলেও রাত ৮টার পরেও কারা পদোন্নতি পেয়েছেন তালিকা পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এসইউ/টিসি