সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ কর্মসূচি দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। এ সময় শ্রমিকরা টায়ার, কাঠ জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার বাংলানিউজকে জানান, ১২টার মধ্যে শ্রমিকরা সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে চলে যাবে।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ যৌথভাবে এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল পাটকল ধর্মঘট এবং প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। ২৬ এপ্রিল শ্রমিক সমাবেশ, ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল পাটকল ধর্মঘট এবং প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ চলবে বলে জানা গেছে।
পাটকল শ্রমিক নেতারা জানান, তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নিয়মিত সাপ্তাহিক মজুরি ও বেতন প্রদান, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ-গ্রাচ্যুইটি ও মৃত শ্রমিকদের বিমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন ও বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, মৌসুমে পাট কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করা প্রভৃতি।
পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের রোয়েদাদ ২০১৫ কার্যকর, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১ এপ্রিল থেকে পাটকল শ্রমিক লীগ, সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ লাল পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ, ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘট, রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ চারদিনের কর্মসূচি পালন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি