ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৭০ বছর বৃদ্ধের কাছে হার মানলো যুবকরাও

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
৭০ বছর বৃদ্ধের কাছে হার মানলো যুবকরাও ৭০ বছর বৃদ্ধের কাছে হার মানলো যুবকরাও। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: তাদের কাছে বয়স কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বলা যায়, বৃদ্ধ শব্দটি তাদের অভিধানে নেই। দিন শেষে বয়স তাদের কাছে একটি সংখ্যা মাত্র। তাই-তো ৭০ বছর বয়সেও যেন তারা তরতাজা যুবক।

হাটহাজারীর মো. মফিজ উল্লাহ বলী ও পতেঙ্গার খাজা আহমেদ বলী। বয়স দুজনেরই ৭০।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সিআরবিতে সাহাব উদ্দিনের বলী খেলায় দুজনই অংশ নিয়েছেন। যেখানে অন্য যুবক বলীরা ৫ থেকে ১১ মিনিট খেলে ক্লান্ত হয়েছেন, সেখানে তারা দুজনেই লড়েছেন পাক্কা ১৫ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।

৭০ বছর বৃদ্ধের কাছে হার মানলো যুবকরাও।  ছবি: সোহেল সরওয়ারতাদের কৃতিত্ব দেখে অন্য যুবক বলীরা শুধু ঈর্ষান্বিত হননি, রীতিমত অবাক হয়েছেন। বিকেল চারটার একটু পরের সময়। তখন জুনিয়রদের প্রথম রাউন্ড শেষ। বড়দের দ্বিতীয় রাউন্ডের সময়। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা এলো-‘এবার অংশ নেবেন জব্বারের বলী খেলায় একসময় তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া মো. মফিজ উল্লাহ ও বিভিন্ন আসরে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া খাজা আহমেদ বলী। ’

তারা মাঠে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের চোখের পলক না ফেলানোর দৃষ্টি। বয়সের ভার তাদের চোখে-মুখে স্পষ্ট হলেও, দুজনেই মাঠে উঠে দুই হাত তুলে হুঙ্কার। এবার দর্শকদের হাততালি ও বাহবা আর থামেও না।

৭০ বছর বৃদ্ধের কাছে হার মানলো যুবকরাও।  ছবি: সোহেল সরওয়ারতাদের দুজনের মধ্যে লড়াই শুরু হয় চারটা ১০ মিনিটে। দুজনই কৌশলে একজন অপরজনকে হারানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু না, কেউ কাউকে হারাতে পারেনি ১০ মিনিট সময় পর্যন্তও। একদিকে দর্শকদের করতালি আর অন্যদিকে যুবক বলীদের অবাক দৃষ্টি। ১৫ মিনিট ১৯ সেকেন্ড লড়াই করার পরও যখন কেউ কাউকে হারাতে পারেনি, তখন তাদের মতামতের ভিত্তিতে রেফারি দুজনকেই জয়ী ঘোষণা করেন।

খেলে শেষে মো. মফিজ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ১৯৭১ সালের আগে থেকে তিনি এ বলী খেলায় অংশ নিচ্ছেন। জব্বারের বলী খেলায় তিনবার চ্যাম্পিয়নও হন তিনি। এখন তার বয়স ৭০ বছর হলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খেলে যেতে চান।

যুবক বলীরাও অংশ নেন ছবি: সোহেল সরওয়ার
খাজা আহমেদ জানান, বলী খেলার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকার কারণে এখনও খেলে যাচ্ছেন তিনি। তিনি যুবকদের খেলা-ধুলার প্রতি মনোনিবেশ বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। খেলা-ধুলা করলে যে এ বয়সেও সুস্থ্য থাকা যায়, সেটি তাদের কাছ থেকে শিখতে বলেন তিনি।

বাংলাদেশম সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
জেইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।