সকাল থেকেই দলে দলে বর্ণিল সাজে নগরের জামালখানখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে ভিড় করতে থাকেন প্রত্যেকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় যেন ক্যাম্পাসের করিডোর অতিক্রম করে চলে যায় মূল সড়কে।
সকালে সবার অংশগ্রহণে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, গান, নাচ, লোকজ মেলাসহ অনেক কিছু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানি ভুলে গিয়ে সুন্দরের জন্য কাজ করতে হবে সবাইকে।
তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি আমাদের মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। প্রতিবছর দিনটি মানুষকে ভালো কাজে জড়িত হওয়ার ডাক দিয়ে যায়। আমাদের উদার হতে শেখায়।
সভাপতির বক্তব্যে সিআইইউর কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা ড. রোবাকা শামসের বলেন, বাংলা নববর্ষ নিছক কোনো উৎসব নয়। এই উৎসব উদ্যাপনের ভেতর দিয়ে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বাঙালি সংস্কৃতির গ্রামীণ চেতনার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ সেতুবন্ধন রচনা করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আইয়ুব ইসলাম, ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার প্রমুখ।
দু’পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ছাড়াও ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ‘এসো হে বৈশাখ’-গানটি দলগতভাবে গেয়ে শোনান কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। এরপর সূচিতে আরও ছিলো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ও নৃত্য।
বিভিন্ন পর্বে যারা অংশ নিয়েছেন তারা হলেন: অমিতাভ, অনিন্দিতা, মিতু, অপূর্বা, অন্তরা, নুসরাত, শাহাদাত, সামিহা, অনির্বাণ, আতিয়া, আসিব, তাসরিন, রাইয়ান, তায়েব, মারিয়া, নাবিলা, জাওয়াদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে তাফরিহা ও ইশরাতের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা উপস্থিত দর্শকদের নজর কাড়ে।
বাংলাদেশ সময়:১৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
জেইউ/টিসি