রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নগরের সার্সন রোডে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। কাজীর দেউড়ী, প্রেসক্লাব, সার্সন রোড প্রদক্ষিণ করে এ শোভাযাত্রা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এবারের শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হয়েছে বিপন্ন কর্ণফুলীকে। প্রতীকী নারীর মুখাবয়বে এক কানে ছিল দুল, অন্যটি খালি।
এ আয়োজন ঘিরে গত একমাস ধরে ব্যস্ত সময় কেটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের। নানা রঙ ও উপাদান দিয়ে হরেক রকম প্রতিকৃতি তৈরি করেন তারা।
পহেলা বৈশাখের দিন নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু হয় ২০০৬ সাল (১৪১৩ সন) থেকে। উদ্যোক্তা ছিল চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘চট্টগ্রাম চারুশিল্পী সম্মিলন’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে বাঙালির মঙ্গল শোভাযাত্রা।
সময়ের পরিক্রমায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বর্ষবরণের আয়োজনে এ শোভাযাত্রা অনন্য মাত্রা পেয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শোভাযাত্রা বর্তমানে এখানকার প্রধান মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ১৪২৬ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানিয়ে বের করা হয়েছে শোভাযাত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
এসি/টিসি