ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা ইস্যুতে চসিক, চউক ও সেনাবাহিনীর বৈঠক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
জলাবদ্ধতা ইস্যুতে চসিক, চউক ও সেনাবাহিনীর বৈঠক জলাবদ্ধতা ইস্যুতে চসিক, চউক ও সেনাবাহিনীর বৈঠক

চট্টগ্রাম: আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও সেনাবাহিনীর বৈঠক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জলবদ্ধতা নিরসনে ৬ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চউক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের  কমান্ডারসহ অন্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরে জলজট সৃষ্টি হলেই নগরবাসী সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করে। নগরবাসীর এ ভোগান্তি লাঘবের জন্য চসিক ইতিমধ্যে অনেকবার চউককে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

যাতে জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিক ও চউকের মধ্যে সমন্বয় হয়।

মেয়র বলেন, নগরের জলবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছার ফসল। এ প্রকল্প যাতে শতভাগ বাস্তবায়িত হয় সে ব্যাপারে চসিক সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এ কাজে চসিকের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। রয়েছে জনবলও। এ ছাড়া এ কাজে কাউন্সিলরদেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের সহযোগিতা নেওয়ারও পরামর্শ দেন মেয়র।

দেড় বছরে মেগা প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, তাই এ বছরও জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে নগরবাসী রক্ষা পাবে না এমন আশঙ্কা রয়েছে।

উপস্থিত সেনাবাহিনীর বি. জেনারেল তানভীর সিটি মেয়রের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিকের সহযোগিতা নেবেন বলে মেয়রকে আশ্বাস দেন।

এরপর চসিক প্রকৌশল বিভাগ, চউক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা চসিকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে চসিক ও চউকের প্রকল্পে যেসব কাজ ওভারলেপিং হয়েছে সেগুলো সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে বার্ষিক  উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাধীন প্রকল্প যে প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে তা সে প্রতিষ্ঠানই করবে। এ প্রকল্পে অন্য প্রতিষ্ঠান কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরকে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা থেকে মুক্ত রাখতে  ৪১টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে ভাগ করে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিরদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান।

বৈঠকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক, চউকের প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এআর/টিসি

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।