ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কারচুপিতে কনটেইনার খালাসের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৯
‘কারচুপিতে কনটেইনার খালাসের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়’ বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

চট্টগ্রাম: কারচুপির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার খালাসের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে কর্মকর্তা ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) চিটাগাং কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশ আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

>> ‘বন্ড সুবিধার অপব্যবহার মানে জাতির সঙ্গে প্রতারণা’
>> বাজেটে দেশি শিল্পকে সুবিধা দেয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করছি।

গত ৩-৪ বছরে কারচুপির মাধ্যমে বিনাশুল্ক বা সামান্য শুল্কে বন্দর থেকে কনটেইনার বের করে নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ, কাস্টম ও বন্দরের বিভিন্ন স্তরের লোকজন জড়িত।
এ ঘটনায় সবার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ঊর্ধ্বতন মহলে খারাপ বার্তা গেছে। ভবিষ্যতে যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। অচিরেই আমরা স্ক্যানার মেশিন নিয়ে আসবো। কোনো পণ্য স্ক্যানিং ছাড়া আনা-নেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। নিলাম আইন হয়েছে। ৩ বার নিলাম ডাকার পরও না হলে যেকোনো মূল্যে ছেড়ে দিয়ে জায়গা পরিষ্কার করতে হবে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিতে কোনো ব্যবসায়ীকে উৎসাহ দেবেন না। এ ধরনের ব্যবসায়ীর কাজ করবেন না। অসৎ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবেন না। তাদের আশ্রয় দেবেন না। তাহলে রাজস্ব আহরণ যেমন হবে তেমনি বাজারে অসম প্রতিযোগিতা থাকবে না। একজন অসৎ ব্যবসায়ী মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য ছাড়ের সুযোগ পেলে সৎ ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। কারণ সৎ ব্যবসায়ীর কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেশি পড়বে। আপনাদের রেভিনিউ ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায়, মো. রেজাউল হাসান, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, মো. মেফতাহ উদ্দীন খানসহ চট্টগ্রামের কমিশনাররা।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ৪৬টি শুল্ক সংক্রান্ত, সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা সংশোধন ও উৎসে আয়কর নথি নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।