বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
>> বাজেটে দেশি শিল্পকে সুবিধা দেয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
এবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে (আরএমজি) বন্ড সুবিধার অপব্যবহার যেন না হয়।
রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বিনিয়োগ ও ব্যবসাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়াকে বাজেটের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কাজ করবো দেশের জন্য। ব্যবসা নিজের হলেও ব্যবসায়ীরা সরকারকে রাজস্ব দেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে আমরা বেশি খরচ করবো। রাজস্ব কমাতে হবে যাতে বিনিয়োগ বাড়ে, কর্মসংস্থান হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট যাতে না হয় সেই লক্ষ্যে নিলাম প্রক্রিয়া সহজতর করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অসাধু ব্যবসায়ী চাই না। যে অন্যদের ব্যবসার ক্ষতি করে। বাজার অস্থিতিশীল করে। নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য কাস্টম কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা স্বচ্ছতা ও দক্ষতায় বিশ্বাস করি। জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আমাদের কর্মকর্তাদের দৃষ্টির মধ্যে রাখতে চাই। যারা মাঠে কাজ করেন তাদেরও আইনের আওতায় আনতে চাই। অসৎ ব্যবসায়ীদের বেশি বেশি জরিমানা করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব বন্দরে স্ক্যানার মেশিনে আমদানি-রফতানি পণ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক আব্দুল আউয়াল, শফিক উদ্দিন, সৈয়দ মোহাম্মদ আবু তাহের, মোহাম্মদ শফি, ডব্লিউআরআই মাহমুদ (রাসেল), জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আহমেদুল হক, এম সোলায়মান এফসিএমএ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও অজিত কুমার দাস, কেডিএস গ্রুপের প্রতিনিধি মোদাচ্ছের আহমেদ সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এআর/টিসি