বুধবার (৩ এপ্রিল) হাসপাতালে গণশুনানিতে শামীম রাজা আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিদিন দুটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে।
‘চিকিৎসা সেবা ভালো।
অভিযোগ দেয়ার পর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক শামীম রাজাকে হাসপাতাল প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এদিকে হাসপাতালে ১৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মরিয়ম বেগমের ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বোন শনিবার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে এখনো কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। পরশুদিন একটি স্যালাইন চেয়েছি, সেটিও দেয়নি।
বাঁশখালীর বাসিন্দা আবু সাদেক নামে এক ব্যক্তি বলেন, দালালের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা হাত থেকে রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে নিতে চায়।
রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা মো. সেকান্দর হোসেন অভিযোগ করেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে পরীক্ষার নাম লিখে দেওয়া হয়। পরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা না করালে হয়রানি করা হয়।
রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসা সাতকানিয়ার বাসিন্দা বেলাল হোসেন অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের বাথরুমে পানি নেই। ওয়ার্ডজুড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপ।
গণশুনানিতে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, রোগীর সেবা নিশ্চিতে গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে অভিযোগগুলো পেয়ে তা সমাধান করা যায়।
‘হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষ আসেন। তাদের মধ্যে কে দালাল-চেনা মুশকিল। এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে। অপরিচিত কেউ সাহায্য করতে চাইলে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রে গেলে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যাবে। ’
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. কাজল কান্তি দাশ, তথ্য বিভাগের ইনচার্জ মো. আবদুল হক মিয়া, উপ সেবা তত্ত্বাবধায়ক শিখা বিশ্বাস, ওয়ার্ড মাস্টার মো. মঞ্জুর রহমান, আনসার সদস্য মো. রবিউল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০, ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি