সোমবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঙ্গলবার(০২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চার দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় আগের শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে ওইদিন গভীর রাতে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে শাহ আমানত, সোহরাওয়ার্দী, আলাওল, এফ রহমান ও শহীদ আব্দুর রব হলে তল্লাশি চালানো হয়।
পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে বিজয় গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসির কর্মীরা। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষ জড়ায়। পুলিশ অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরে সন্ধ্যার দিকে আবারও সংঘর্ষ জড়ায় দুই গ্রুপ।
চারবার সংঘর্ষে অন্তত উভয় গ্রুপের ১৪ নেতাকর্মী আহত হন। এরমধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব।
এরমধ্যে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের নাহিদ হাসান ইউসূফ নামে একজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোনো অপ্রতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোরশেদ রিপন বাংলানিউজকে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি এড়াতে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের চিহিৃত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
জেইউ/টিসি