ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জিয়া পাহাড়ে পালিয়েছিল, আমরা খুঁজে এনেছি: মোশাররফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
জিয়া পাহাড়ে পালিয়েছিল, আমরা খুঁজে এনেছি: মোশাররফ বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কড়লডেঙ্গা পাহাড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তাকে দেওয়া এক গণসংবর্ধনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির ছেলেরা স্লোগান দেয়-স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও সালাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কি কখনও বলেছিলেন তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন? কোথাও দেখাতে পারবেন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন?’

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গণসংবর্ধনার দেয় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ।                                             <div class=

ছবি: সোহেল সরওয়ার" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019March/bg/m-bg620190401215537.jpg" style="margin:1px; width:100%" />‘আমি সাক্ষী-জিয়াউর রহমান লুকিয়ে কড়লডেঙ্গা পাহাড়ে চলে গিয়েছিল। তাকে আমরা খুঁজে এনেছি। যখন উল্টাপাল্টা বক্তব্য রাখলেন তাকে আমরা ধরলাম। তখন তিনি বললেন তার ভুল হয়েছে। আমরা ইংরেজিতে একটা ড্রাফট লিখে নিয়ে এসেছিলাম, সেই ড্রাফট করেছিলেন এমআর সিদ্দিকী। ফটিকছড়ি থেকে মির্জা মনসুর নিয়ে এসেছিল। ’

‘আমাদের সম্মুখে জিয়া কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বললেন-আই অন বিহাফ অব আওয়ার গ্রেট লিডার শেখ মুজিবুর রহমান হেয়ারবাই ডিক্লেয়ারড দ্য ইন্ডিপেনডেন্স অব বাংলাদেশ। আজকে যারা তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে লাফায় তারা তখন জন্মগ্রহণও করেনি। আর বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ যারা তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেন তারা জ্ঞানপাপী। ’ বলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৯৬ সালে সংসদে বলেছিলাম-জিয়াউর রহমান জীবিত থাকাকালীন কোনোখানে লিখে গেছেন কিনা বা বলেছেন কী না যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। যদি কেউ এমন প্রমাণ দিতে পারে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো। কর্নেল অলি আহমদ বিরোধী দলে ছিলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তাকেও ইঙ্গিত করে বললাম। তিনিও কোনো কথা বলেননি। ’

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতা বিরোধিরা জাসদের সঙ্গে একিভূত হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যে জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল। জাসদ তো শুধু জাসদ না, জাসদে ছিল জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, স্বাধীনতা বিরোধিরা। আ স ম রব যখন জনসভা করতো, না ডাকতেই ৫০ হাজার লোক হতো। কোত্থেকে আসতো এসব লোক? সব স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। ’

গণসংবর্ধনার জবাবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শুধু আমরা সম্মানিত হইনি। সম্মানিত হয়েছে চট্টগ্রামবাসী ও চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবার। মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি আমার পদক উৎসর্গ করলাম। ’

এ সময় স্বাধীনতা পুরস্কারের অর্থ অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য দান করার ঘোষণা দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের পরিচালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম।

বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।