রোববার (২৪ মার্চ) সংগঠনের জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সংগঠনের বিভাগীয় সমন্বয়ক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, জেলা পরিষদ সদস্য নারীনেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ।
সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বিকে বিশ্বাস বিপ্লব, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা গৌরি শংকর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, লেয়াকত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক খান, শাহেদ মুরাদ শাকু, জসিম উদ্দিন মিঠুন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, জসিম উদ্দিন, সেলিম রহমান, মনোয়ার জাহান মনি, নুরুল হুদা চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহিলা সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশি।
প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭১ সালের ভয়াল কালো রাত পঁচিশে মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না। এটা ছিল মূলত বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলঙ্কজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। পরবর্তী নয় মাসে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পূর্ণতা দিয়েছিল সেই ঘৃণ্য ইতিহাসকে। তাদের সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ সবই ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ গৃহীত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ শীর্ষক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বর্ণিত সংজ্ঞায় গণহত্যার চূড়ান্ত উদাহরণ।
বক্তারা বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত গণহত্যার দিন পঁচিশে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এআর/টিসি