বিষয়টি নজরে আসার পর হরিণীর কাছ থেকে একপ্রকার কেড়েই নেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর মো. শাহাদাত হোসাইন শুভ।
এরপর অন্য এক লড়াই শুরু করে তিনি।
তিন দিন পরম যত্নে হরিণ শাবকটি সুস্থ করে তোলেন শুভ। তারপর ছেড়ে দেন চিড়িয়াখানায় চিত্রা হরিণের খাঁচায়।
মো. শাহাদাত হোসাইন শুভ বাংলানিউজকে বলেন, নতুন শাবকটিসহ মোট ১৩টি চিত্রা হরিণ হলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। এ শাবকটি বাঁচিয়ে তোলা রীতিমতো অসম্ভব ছিল। আমরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছি শুধু প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা দিয়ে।
৫ মার্চ হরিণ শাবকটি জন্ম নিয়েছিল। ৭ মার্চ আমরা সেটি আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসি। এরপর তিন দিন ছিল পরীক্ষা। যাতে আমরা সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি। এখন সেটি সুস্থ আছে। সবচেয়ে বড় কথা হরিণ শাবকটিকে মা গ্রহণ করেছে।
১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে অর্ধশতাধিক প্রজাতির তিন শতাধিক প্রাণী ও পাখি আছে। এর মধ্যে আছে ৪টি বাঘ, ২টি সিংহ, ৬টি জেব্রা, ২টি পুরুষ ভাল্লুক, কুমির, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, ৪টি উল্টোলেজী বানর, উল্লুক, হনুমান, চিতা বিড়াল ৪টি, ময়ূর, শেয়াল, কচ্ছপ, অজগর সাপ ইত্যাদি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকায় আমদানি করা এক জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার গত ১৯ জুলাই ৩টি শাবকের জন্ম দেয়। এর মধ্যে একটি শাবক মায়ের পায়ের নিচে পড়ে মারা যায়। বাকি দুইটির মধ্যে একটি দুর্লভ প্রজাতির সাদা বাঘ। যা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শক ও প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কৌতূহল ছিল সীমাহীন। সর্বশেষ ক্যাঙারু আনার পরিকল্পনা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি