বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করে দেখা গেল, তারা কেউ ভোট দিচ্ছেন না। নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন অনেক আগেই।
ওই কেন্দ্রে ভোটার আছেন ৪ হাজার ৫৩১ জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পোলিং অফিসার বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১০-১৫ জন ভোটার ভোট দিতে আসলেও ১০টা পর্যন্ত মাত্র তিনজন ভোট দিতে এসেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীর পক্ষ হয়ে কিছু নারী-পুরুষ কাজ করছেন। তারা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বা সাংবাদিক এলে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। অথচ তারা ভোট অনেক আগেই দিয়েছেন।
শুধু ওই ভোট কেন্দ্র নয়, পটিয়ার লড়িহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল্লাইওখারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ভোটকেন্দ্রে একই চিত্র পাওয়া গেছে। ভোটার উপস্থিতি দেখাতে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বেলা ১১টায় লড়িহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৪৬ ভোটারের বিপরীতে মাত্র ২০টি ভোট পড়েছে।
প্রিসাইডিং অফিসার সঞ্জিব কুসুম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো গোলোযোগ হয়নি।
পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আফরোজা বেগম, মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, ডা. তিমির বরণ চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা গোলযোগের অভিযোগ আমরা পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫, ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি