তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে বোয়ালখালী আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোট শুরুর পর থেকে বোয়ালখালী উপজেলার একাধিক কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।
জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেতর থেকে এক প্রার্থীর সমর্থককে বের করে দেয়ার সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
কেন্দ্রটিতে ভোটার রয়েছেন দুই হাজার ৫৩৩ জন।
ভোট দেয়ার পর নুরুল আজিম নামে এক ভোটার বাংলানিউজকে বলেন, লাইন দাঁড়াতে হয়নি। গিয়েই ভোট দিলাম।
আফিয়া খানম নামে এক নারী ভোটার বলেন, কোনো সমস্যা ছাড়া ভোট দিয়েছি।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জামাল আবদুল নাসের বাংলানিউজকে বলেন, সকালে ভোটার ছিল না। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভোটার এসেছে। সকাল ১০টার দিকে ওই কেন্দ্রে প্রায় দুইশ ভোট পড়েছে বলে তিনি জানান।
পার্শ্ববর্তী আবদুর রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।
দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ভোট দিতে ভোটাররা আসছেন না।
বোয়ালখালীতে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলায় ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ২৬৫ জন। ৭৭ ভোটকেন্দ্রের ৫৪৪ কক্ষে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
'গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে (ঝুঁকিপূর্ণ) দুজন করে পুলিশ সদস্য, সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ সদস্য এবং প্রতিকেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্বে আছেন। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। র্যাব, পুলিশের একাধিক টিম নির্বাচনী এলাকায় টহলে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫, ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি