তবে চিকিৎসকরা জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন।
সাতকানিয়ার বাসিন্দা শাকেরা বেগম নামে ওই রোগী হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার (২০ মার্চ) হাসপাতালে গণশুনানিতে শাকেরা বেগমের মেয়ে কোহিনুর আকতার অভিযোগ করেন, তার মাকে মহিউদ্দিন নামে এক সুইপার ইনজেকশন পুশ করেছেন।
কোহিনুর আকতার বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ দেয়ার পর থেকে বিভাগের চিকিৎসকরা রোগী ও আমাদের মানসিকভাবে হয়রানি শুরু করেন।
‘দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক আমাকে বলেন, এভাবে অভিযোগ দিলে চিকিৎসা করাতে পারবো না। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তের সময় বিভাগের সহকারি রেজিস্টার ডা. মোসাম্মৎ সুলতানা আকতার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনার রোগীর ভর্তি বাতিল করে দেব। দেখব আপনার জোর কত। ’ যোগ করেন কোহিনুর আকতার
কোহিনুর আকতার বলেন, আমার মা এখনো সুস্থ হয়নি। অন্যের সাহায্যে খাবার খান। এ অবস্থায় শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে তাকে বিভাগ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিকেলে তাকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছি।
এ ব্যাপারে চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহকারি রেজিস্টার ডা. মোসাম্মৎ সুলতানা আকতার বাংলানিউজকে বলেন, রোগীকে চিকিৎসা ও সেবনের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর আবার ইনজেকশন দিতে হবে। বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের অনুমতিতে রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের হুমকির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. মোসাম্মৎ সুলতানা আকতার সেটি মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবি করেন।
এদিকে কোহিনুর আকতারকে আবারও লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রোগীকে জোরপূর্বক ছাড়পত্র দিয়েছে ফোনে এমন অভিযোগ করেছেন কোহিনুর আকতার। আমরা তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। সেটি পেলে অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
এর আগে গণশুনানিতে কোহিনুর আকতার বলেন, রোববার হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে আমার মাকে ভর্তি করায়। ভর্তির দিন মহিউদ্দিনকে ওয়ার্ডের মেঝে পরিস্কার করতে দেখেছি। এরপর সোমবার দুপুরে তিনি আমার মায়ের হাতে ইনজেকশন পুশ করেন। এতে আমার মায়ের হাত ফুলে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এসইউ/টিসি