ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৈশ্বিক কালান্তরের মুখোমুখি আমরা: আবুল মোমেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
বৈশ্বিক কালান্তরের মুখোমুখি আমরা: আবুল মোমেন চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত স্বাধীনতা উৎসব ও লেখক পাঠক সম্মিলন উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

চট্টগ্রাম: নতুন প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার, জীবনধারায় পরিবর্তন, অসহিষ্ণুতা, জঙ্গিবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে উদ্বেগ জানিয়ে কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেছেন, বৈশ্বিক কালান্তরের মুখোমুখি আমরা।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী স্বাধীনতা উৎসব ও লেখক পাঠক সম্মিলন উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আবুল মোমেন বলেন, অনেক উত্থান পতনে দেশ গেছে।

বাঁক বদল ঘটেছে। পাকিস্তান আমলে অনেক সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলন হয়েছে।
১৯৪৯ সালে প্রথম ঢাকায় সাহিত্য সম্মেলন হয়। যেখানে ড. শহীদুল্লাহ বলেছেন-হিন্দু মুসলমান ভাগ করা যাবে না। ১৯৫০ সালে চট্টগ্রামে একটি সংস্কৃতি সম্মেলনে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ বলেছেন, পরের মাথায় যারা কাঁঠাল ভেঙে খায় তাদের হাতে সমাজ চলে যাচ্ছে। ১৯৫৪ সালে কার্জন হলে সাহিত্য সম্মেলনে অনেক প্রবন্ধ পঠিত হয়। ৫৪ সালের নির্বাচনে রমেশ শীলের গান গণজোয়ার এনেছিল। বাঙালি সত্তা ফিরে পেয়েছে।

চট্টগ্রাম একাডেমির স্বাধীনতা উৎসব ও লেখক পাঠক সম্মিলনকে প্রাসঙ্গিকতার আলোয় আলোকিত করতে হবে। বাতিঘরের মতো আলো ছড়িয়ে দিতে হবে।

বক্তব্য দেন কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেনকবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, রাশেদ রউফের সাংগঠনিক শক্তির পরিচয় মেলে এ অনুষ্ঠানে। নানা নামের এ আয়োজনে লেখক পাঠক মিলিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছেন তিনি।

কথাশিল্পী অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম বলেন, সাহিত্যের চেয়ে বড় শক্তি নেই। সাহিত্য পারে মহামিলন ঘটাতে। সাহিত্য ছাড়া ভালো মানুষ হওয়ার উপায় নেই। লেখক মাত্রই পাঠক। পাঠক মাত্রই লেখক। সবাই দেশকে ভালোবাসতে হবে।

একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মিলনের আহ্বায়ক ও একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক নেছার আহমদ।

একাডেমির মহাপরিচালক অরুণ শীল বলেন, ২০০১ সাল থেকে চট্টগ্রাম একাডেমি স্বাধীনতার বইমেলা আয়োজন করে আসছে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ আয়োজন।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক, মানবাধিকার সংগঠক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাহিত্য সংস্কৃতি যেখানে, আমি সেখানে ছুটে যাই জীবনকে উপভোগ করার জন্য। দেশ ধনী হবে, জাতি সমৃদ্ধ হবে যদি সুশাসন নিশ্চিত হয়, মননশীলতার বিকাশ ঘটে।

তিনি 'এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি' গানটি শোনান।

শুরুতে ছিল দেশের গানের সঙ্গে দীপশিখা নৃত্যগোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। এরপর শিল্পী মৃণালিণী চক্রবর্তীর পরিচালনায় উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন রাগেশ্রীর শিল্পীরা। উপস্থাপনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু।

উৎসবে শৈলী প্রকাশন, বলাকা প্রকাশন, শব্দশিল্প, আবির, প্রথমা, চন্দ্রবিন্দু, কালধারা, প্রজ্ঞালোক, অক্ষরবৃত্ত, বাতিঘর, চট্টগ্রাম একাডেমির স্টলে বিশেষ কমিশনে বই বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।