ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাড়ে তিন বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার কাজ চসিকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
সাড়ে তিন বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার কাজ চসিকে ৪টি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ অন্যরা

চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় ৩ বছর ৮ মাসে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছে চসিক। প্রকল্প পেতে চসিককে ২০-২৫ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড দিতে হলেও একনেক সভায় ১২৩০ কোটি টাকার প্রকল্পটি জিরো ম্যাচিং ফান্ডে অনুমোদিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চসিকের সম্মেলন কক্ষে ডাচ বাংলা, ওয়ান, প্রাইম ও সাউথইস্ট ব্যাংকের সঙ্গে গৃহকর, ট্রেড লাইসেন্স ফি ইত্যাদি জমা নেওয়ার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।  

গৃহকর, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিবিধ চার্জ ও ফি ৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা নেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

এ লক্ষ্যে ৪টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করছে চসিক। ২০১৮ সালের ২১ জুন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সাড়া দেয় ১১টি ব্যাংক।
এর মধ্যে ৭টি ব্যাংক বাছাই করে চসিক।

চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা এবং প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও টিম লিডার মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ডাচ বাংলা ব্যাংকের অপারেশন ব্রাঞ্চ প্রধান মোশারফ হোসেন, ওয়ান ব্যাংকের অতিরিক্ত উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান চৌধুরী, সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার উদ্দীন সই করেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকার্স ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার উদ্দীন বক্তব্য দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চসিকের আয়ের প্রধান উৎস পৌর কর। এর ওপর নির্ভর করেই করপোরেশনের যাবতীয় সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই পৌর কর আদায়ের প্রক্রিয়া হয়রানিমুক্ত করার জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। অটোমেশন হচ্ছে যেকোনো ধরনের জটিলতা নিরসনে একটি নিরাপদ পদ্ধতি। জনঅধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে এই অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার উদ্যোগ নিলো চসিক।

মেয়র বলেন, অটোমেশন পদ্ধতি চালুর ফলে নগরবাসী ঘরে বসেই তাদের হ্যোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, মার্কেটের দোকান ভাড়া, উন্নয়ন চার্জ এবং ইজারাকৃত সম্পত্তির যাবতীয় কর ও ফি অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। এতে কর প্রদান প্রক্রিয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি আদায়ের হার বাড়বে কয়েক গুণ। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ অটোমেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন কারণে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পৌরকর আদায় করতে পারছি না। আমি যখন করপোরেশনের দায়িত্ব নিই তখন চসিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ছিল ৯ কোটি টাকা। যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি টাকায়। এ খরচ জোগাতে করপোরেশনকে পৌরকর আদায়ে জোর দিতে হচ্ছে। করপোরেশনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতাসহ বিবিধ সেবা সচল রাখতে হলে নগরবাসীকে নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।

বিগত মেয়রের সময় কর আদায় ২৭ শতাংশ ছিল উল্লেখ করে মেয়র বলেন, অনেক চেষ্টা তদবির করে গত বছর আদায় কার্যক্রমকে ৩৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। যা পৌরসভা ও করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ কর আদায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।