বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ভোলার বাপের বাড়ি এবং মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মাহমুদাবাদের খোশল চৌধুরী বাড়িতে গিয়ে দুই বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, দক্ষিণ মেখল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শাহরিয়া সুলতানা জেকির (১৫) সঙ্গে স্থানীয় সালাউদ্দিন আহমেদের বিয়ে ঠিক করেন তাদের অভিভাবকরা।
কিন্তু বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরেই স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং কাজীকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও মো. রুহুল আমিন।
অন্যদিকে মাহমুদাবাদ দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী নাহিদা সুলতানার (১৬) সঙ্গে স্থানীয় প্রবাসী এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক করেন তাদের অভিভাবকরা। মঙ্গলবার আকদ এবং শুক্রবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো তাদের।
বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়িতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে নাহিদার বাল্য বিয়েও বন্ধ করেন ইউএনও মো. রুহুল আমিন।
এ প্রসঙ্গে মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বাল্য বিয়ে একটি অপরাধ। অনেক অভিভাবক জেনে বা না জেনে মেয়েদের বাল্য দিয়ে দেন। এতে একদিকে আইন লঙ্ঘিত হয়, অন্যদিকে বাল্য বিয়ের শিকার নারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।
তিনি বলেন, সরকার নারী শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাসহ বিভিন্ন বৃত্তি দিচ্ছে। নারীদের জন্য আলাদা কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর পরেও বাল্য বিয়ে দেওয়া দুঃখজনক।
‘নারীরা এখন আর পরিবারের বোঝা নয়। একজন শিক্ষিত মা একটি পরিবার, সমাজ, দেশকে পাল্টে দিতে পারে। বিষয়গুলো বাল্য বিয়ে দিতে চাওয়া দুই পরিবারকে বুঝিয়েছি। শেষ পর্যন্ত তারা রাজি হয়েছেন। দুই মেয়েকে বাল্য বিয়ে না দিয়ে আবারও স্কুলে পাঠাবেন বলে কথা দিয়েছেন। ’ বলেন মো. রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমআর/টিসি