ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০২ কোটি টাকায় ‘নগর ভবন’ হবে চসিকের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
২০২ কোটি টাকায় ‘নগর ভবন’ হবে চসিকের বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: ২০২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৩ তলা নগর ভবন নির্মাণকাজ শিগগির শুরু করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নাগরিক সেবা ও চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৩৩ হাজার ৯৫৫ বর্গফুট জমির ওপর ভবন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

এতে লিফট, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে সাবস্টেশন, জেনারেটর এবং সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা-নেওয়ার জন্য ২টি বাস, ৩টি এরিয়াল লিফট, ৩টি ওয়াটার ভাউজার, ১৪টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৮টি জিপ, ১টি পাজেরো সংগ্রহ করা হবে।

>> নগর ভবনের ফটক থাকবে সিরাজউদ্দৌলা সড়কেও

বুধবার (২০ মার্চ) চসিকের ৪৪তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব তথ্য জানান।

সভায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস বর্ণিল পরিবেশে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপনে চসিককে ব্যাপক কর্মসূচির গ্রহণের দিকনির্দেশনা দেন মেয়র।   

চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার এবং চসিক প্যানেল মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, করপোরেশনের বিভাগীয় ও শাখার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, নগরীর বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ১৬ একর জায়গার ওপর প্রায় ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর কুলগাঁওতে সর্বাধুনিক বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে টার্মিনাল এলাকায় সাইন বোর্ড ও রেড মার্ক করা হয়েছে। সেই জমি যাতে কেউ বেচাকেনা এবং স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নগরের যে সব রাস্তা কাঁচা কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তার তালিকা সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের জমা দেওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন সেবকদের নিরাপদ আবাসনের বিষয় চিন্তা করে ১৪ তলা ৭টি ভবন নির্মাণ করা হবে। ৭টি ভবনে ১৩০৮টি ফ্ল্যাট হবে। প্রতি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৫৫০ বর্গফুট। ভবনগুলোর প্রতিটিতে ২টি লিফট, হল রুমসহ আবাসিক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ২৩১ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে সম্পন্ন করা হবে।  

সভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুতকরণসহ স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর এবং  এলইডি লাইট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া যানজট নিরসনে পার্কিং ও পরিবহন শৃঙ্খলার বিষয়ে বাস, সিএনজিচালিত ট্যাক্সি ও রিকশামালিক সমিতির নেতা এবং পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিময়ের আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডকে পীরে কামেল হজরত হাফেজ মুনির উদ্দিনের (র.) নামকরণে  ‘মুনির নগর’  রাখার  সিদ্ধান্ত  হয়।   

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।