ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বঙ্গবন্ধুর সাধনাই ছিলো বাঙালির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
‘বঙ্গবন্ধুর সাধনাই ছিলো বাঙালির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা’ ‘বঙ্গবন্ধুর সাধনাই ছিলো বাঙালির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা’

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, `বাঙালির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করাই ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাধনা। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করলেই জানা যায়, কী অসীম সাহসী ছিলেন তিনি, কতোটা বাঙালি প্রেমী ছিলেন তিনি।'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ঘোষিত দেশের বিভিন্ন স্থানে শত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চবি উপাচার্য দপ্তরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী সারাদেশে যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হচ্ছে তাতে প্রমাণ হয় দেশবাসী একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় একনম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান পেশাজীবী নেতা প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শংকর লাল সাহা, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাহাবুবুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, কাতার মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন জিয়া।

‘বঙ্গবন্ধুর সাধনাই ছিলো বাঙালির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা’সভাপতির বক্তব্যে শওকত বাঙালি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যারা কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছিল তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে যাবে।

কিন্তু তারা জানত না তিনি ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই বাঙালি জাতির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। বিশ্ব ইতিহাস থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়েজিদ থানা নির্মূল কমিটি সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. মঈনুদ্দীন, নির্মূল কমিটি জেলা নেতা অলিদ চৌধুরী, আবু সাদাত মো. সায়েম, প্রফেসর বকুল চন্দ্র চাকমা, ড. হাসান খালেদ রউফ, ড. মো. ইকবাল শাহীন খান, ড. মো. শাহীদুর রহমান, ড. এম শফিকুল আলম, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ ফজলুল হক, ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, ড. সনজীব কুমার ঘোষ, ড. মনির উদ্দিন, ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, ড. মোহাম্মদ হারুণ-উর-রশীদ, ড. মো. নুরে আলম, ড. মো. হানিফ সিদ্দিকী, ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, প্রফেসর ড. এ.কে.এম মঈনুল হক মিয়াজী, ড. লায়লা খালেদা, ড. মো. আবুল কাশেম, ড. মো. বশির আহম্মদ, পারভীন সুলতানা, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, আনিসুল আলম, মো. মুজিবুর হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন ডিনের হাতে প্রতীকী তিনটি ফলদ বৃক্ষের চারা তুলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।