ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পায়েল হত্যা: তিন আসামির জামিন বাতিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
পায়েল হত্যা: তিন আসামির জামিন বাতিল ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: আলোচিত পায়েল হত্যা মামলার তিন আসামির জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২০ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুল হালিমের আদালত এ আদেশ দেন।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান বাংলানিউজকে জানান, তিন আসামি ট্রাইব্যুনালে এসে ভুয়া জিম্মাদার দাখিল করে জামিন নেন।

বিষয়টি বুধবার আদালতের নজরে আনা হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আগামী ২৭ মার্চ মামলার চার্জগঠনের জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ আসামিরা হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় দুই জন ব্যক্তির জিম্মায় ২০ হাজার টাকা বন্ডে জামিননামা দাখিল করেন। আদালত তা গ্রহণ করে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুই জিম্মাদারের মধ্যে ভোটার আইডি নম্বর ১৯৯১২৬৯৩৬২২০০০২৮৮ শিউলি বেগম। কিন্তু তার ভোটার আইডিতে একজন পুরুষের ছবি রয়েছে। এটি সন্দেহ হয় আদালতের। শিউলি বেগম পুরুষ হতে পারেন না। আদালত এ ঘটনাকে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে মর্মে আদেশ দেন।

এ কারণে আসামি হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন, সুপারভাইজার মো. জনি ও হেলপার মো. ফয়সাল হোসেনের জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ জালিয়াতিতে সহায়তা করার অভিযোগে আসামিদের আইনজীবী ফাহমিদা আফসানার বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করেন আদালত।

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল।

একদিন পর ২২ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশ।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালতে তাদের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রস্রাব করার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে এসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারান।

নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে মুখ থেতলে দিয়ে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আসামিরা।

এ ঘটনায় গজারিয়া থানার পুলিশ ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

প্রজ্ঞাপনটি ১৬ জানুয়ারি পায় পায়েলের পরিবার। চট্টগ্রামে বিচার শুরু হয় ১৩ মার্চ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।