সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে পাহাড় কাটার ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে পরিবেশ অধিদফতর। নোটিশে ২৭ মার্চ পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সোমবার পরিদর্শন করে চন্দ্রনগর এলাকায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো ও শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।
নোটিশে কাঠালবাগান বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী জেড এ আবাসিক সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. খাইয়ুমকে শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকে অনুমতি নিয়েছিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার কাঠালবাগান বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী জেড এ আবাসিক সমিতি। পরে জেড এ আবাসিক সমিতির সহায়তায় মো. বাহার উদ্দিন প্রকাশ কালা বাহার নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড় কাটেন।
এ নিয়ে রোববার (১৭ মাচ) বাংলানিউজে ‘পাহাড় কেটে সমতল, জানা নেই কর্তৃপক্ষের!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মধ্য রাতে স্কেভেটর দিয়ে কাটা হয় পাহাড়। মাসখানেক ধরে কাটা হচ্ছে। পাহাড়ের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের প্রায় অর্ধেক কেটে মাটি সরিয়ে ফেলেছে ভূমিদস্যুরা। কালা বাহার নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড়ের মাটি কাটছেন।
মো. বাহার উদ্দিন প্রকাশ কালা বাহার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেন বলে জানা গেছে। তিনি নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার নাম ভাঙিয়ে পাহাড় কাটছেন বলেও তথ্য দেন স্থানীয় কয়েকজন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাহার উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেন নি।
রাস্তা সম্প্রসারণের অনুমতি নেওয়া কাঠালবাগান বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী জেড এ আবাসিক সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলমের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এসকে/টিসি