ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোটারের উপস্থিতি কম ভোটকেন্দ্রে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
ভোটারের উপস্থিতি কম ভোটকেন্দ্রে ভোটারশূন্য ফটিকছড়ির উত্তর রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। ছবি: বাংলানিউজ

উত্তর চট্টগ্রাম থেকে: পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১৩ লাখ ৬২ হাজার ১২২ জন ভোটারের জন্য ৪৯৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

ফটিকছড়ির শাহ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ইব্রাহিম জানান, সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

তবে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি নেই। তবে দুপুরে ভোটার বাড়তে পারে।

সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জুবায়ের এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে এজেন্টদের মোবাইল ফোন জব্দ করার নির্দেশ দেন।

সীতাকুণ্ডের একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি।  ছবি: বাংলানিউজএদিকে উপজেলার নানুপুর আবু সুবাহান উচ্চ বিদ্যালয়, আজিম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরহাট জামিয়া মিল্লিয়া কামিল মাদরাসা, পূর্ব ফরহাদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাজহারুল উলুম গাউছিয়া মাদরাসা, নানুপুর গাউছিয়া মাদরাসা কেন্দ্র ঘুরে হাতেগোণা কয়েকজন ভোটার দেখা গেছে।

মাজহারুল উলুম গাউছিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক নারী ভোটার জানান, তাড়াতাড়ি এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিবেশি কয়েকজনকে ভোট দিতে যাবার জন্য বললেও তারা আসেনি।

এই মাদরাসায় দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার এস এম এনামুল হক বলেন, মহিলা ভোটার সংখ্যা অনেক কম। সকাল থেকে ৩০ জনের মতো ভোটার এসেছেন।

হাটহাজারীর দক্ষিণ ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সাধন ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে জানান, এই কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৭ ভোটারের মধ্যে সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ১১০ জন।

জোবরা পিপি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে ২৫৭টি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ১২৩জন।

হাটহাজারীর দক্ষিণ ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোটারশূন্য।  ছবি: বাংলানিউজআলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়েও ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এই কেন্দ্রে ৪ হাজারের অধিক ভোটার রয়েছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জানান, দুপুর নাগাদ ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে।

সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, পাঁচ উপজেলায় ৪৯৫ জন প্রিসাইডিং, তিন হাজার ৪৪১ জন সহকারি প্রিসাইডিং এবং ছয় হাজার ৮৮২ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্বে আছেন।

সীতাকুণ্ডের একটি কেন্দ্রে অলস সময় পার করছেন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতরা।  ছবি: বাংলানিউজরিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলানিউজকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে দু’জন করে পুলিশ সদস্য, সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ সদস্য এবং প্রতিকেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্বে আছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্বে আছেন। পাশাপাশি র‌্যাব-পুলিশের একাধিক টিম নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।