ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাম-ডান এক হয়েও ছাত্রলীগের বিজয় ঠেকাতে পারেনি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
বাম-ডান এক হয়েও ছাত্রলীগের বিজয় ঠেকাতে পারেনি বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: বিএনপি কিংবা ঐক্যফ্রন্ট ডাকসু নির্বাচনকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রদল কত ভোট পেয়েছে সেটি বলতেও তারা লজ্জা পাচ্ছে। যারা বামপন্থী সংগঠন করে তাদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান-শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, বাম-ডান সবাই মিলে চেষ্টা করেছিল ছাত্রলীগকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাম-ডান সবাই একত্রিত হয়েও ছাত্রলীগের বিজয় ঠেকাতে পারেনি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে তৃতীয় বীমা মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে।

নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। এটি ইতিবাচক দিক।
সেখানে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তদন্ত কমিটি করেছে। নির্বাচনের দিনই তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যারা অভিযোগ করছে তারা নিজেরাই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। যে দু-একটি হলে তারা কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন সেখানে তাদের শীর্ষ নেতারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। কীভাবে বেশি ভোট পেলেন? এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, সার্বিকভাবে সামান্য কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি বাদে ভালো নির্বাচন হয়েছে। ডাকসুতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা ছাত্রদের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। এটিই ছাত্রদের প্রত্যাশা বলে আমি মনে করি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডাকসুতে নির্বাচিতরা শপথ নেবে না একথা বলেনি। প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চারই অংশ।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তিনি রাজবন্দী নন। তিনি দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আছেন। তাকে মুক্ত করার একমাত্র পথ হচ্ছে আদালত এবং আইন। আইন ও আদালতের মাধ্যমে তার মুক্তি মিলতে পারে, অন্য কোনোভাবে তাকে মুক্ত করার সুযোগ নেই। রিজভী আহমেদের কথায় প্রমাণিত হয় তারা সাময়িকভাবে তাদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সেটিতে বিরতি দিলেও, তাদের জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস, সম্পত্তি ধ্বংস, মানুষের গায়ে পেট্রল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার রাজনীতিতে সেটিতে সাময়িক বিরতি দিলেও তারা সুযোগ পেলে আবার জনগণের ওপর ছোবল দেবে। এটি বলার মাধ্যমে তারা যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছেন সেটি তিনি প্রমাণ করছেন। আমি মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত ভাবার। তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের আর সেই সুযোগ দেবে না। ,

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।