বীমা খাতে সরকারের ভিশন ও মিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সহযোগিতায় বীমা মেলা হচ্ছে। এবারের মেলায় সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মিলে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ১০২টি স্টল থাকবে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মেলার সমপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সকাল ১০টায় মেলা প্রাঙ্গণে ‘বীমা খাতে ডিজিটালাইজেশন এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন।
মেলায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ), বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একডেমি (বিআইএ) এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ), বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সার্ভেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্টল থাকবে। এ সব স্টল থেকে বীমা বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ বা সমস্যার সমাধান সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হবে। বীমা মেলায় বীমাকারীরা বিভিন্ন পলিসি বিক্রি করবেন এবং বীমা দাবি নিষ্পত্তি করবেন। এ ছাড়াও বীমা বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের স্টল থাকবে।
অনুষ্ঠান মঞ্চে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নতুন বীমা পলিসি বিক্রি, নবায়ন, বিভিন্ন কোম্পানির বীমা পলিসির হালনাগাদ তথ্য, বীমার সু্বিধা সম্পর্কে বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল প্রদর্শনী থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সিজেকেএস সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীমা মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি গকুল চাঁদ দাস, বীমা কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন আহমদ, নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ মো. রেজাউল ইসলাম, খলিল আহমেদ, পরিচালক ড. বশিরুল আলম, ফারুক আহমেদ, আবুল কাসেম মো. ফজলুল হক, ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ইউসুফ আলী, বীমা কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা এনায়েত আলী খান।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ২০১৮ সালে লাইফ বীমা খাতে ৬২০২ কোটি টাকা এবং নন-লাইফ বীমা খাতে ৮৪৮ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। দেশের ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বীমার আওতায় এসেছে। ২০১৮ সালে প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। বীমা খাতে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে বীমা গ্রাহকদের জন্য অভিন্ন কেওয়াইসি চালু হয়েছে। বীমা খাতের আধুনিকায়ন ও অটোমেশনের জন্য সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৬৩২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এআর/টিসি