বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু-তে রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৩০ লাখ লোকের আবাসন চাহিদা রয়েছে।
আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, অনেকেই ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে ফ্ল্যাট চাইছেন। তাদের চাহিদা মেটাতে আমাদের কম মূল্যে জমি দরকার। এখানে ভূমিমন্ত্রী আছেন, তাকে অনুরোধ করবো- চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যেসব সরকারি খাস জমি আছে তার কিছু রিহ্যাব মেম্বারদের দেন। আমরা সেখানে শহর তৈরি করে কম মূল্যে গ্রাহকের হাতে ফ্ল্যাট তুলে দেবো।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ হাতে নিয়েছেন। এসব ভিশন বাস্তবায়নে রিহ্যাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। সবার আবাসন সমস্যা মিটিয়ে দেশের অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে চাই।
আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই আমরা এখানে রিহ্যাব ফেয়ার করে থাকি। চট্টগ্রামবাসী ফেয়ারে এসে আমাদের উৎসাহিত করে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে রিহ্যাব সদস্যরা চট্টগ্রামকে আরও সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
ভোগান্তি কমাতে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চাই:
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী বলেন, উন্নত রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত হলো- সব নাগরিকের আবাসন চাহিদা পূরণ করা। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমেই এটি সম্ভব।
তিনি বলেন, শুধু উচ্চবিত্ত নয়, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত লোকজনকেও আমরা ফ্ল্যাট দিতে চাই। তবে এ জন্য সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। সরকার স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণ করলে, কম মূল্যে জমির ব্যবস্থা করলে খুব দ্রুতই আমরা সবার আবাসন চাহিদা মেটাতে পারবো। ভাড়ার টাকায় গ্রাহকের হাতে ফ্ল্যাট তুলে দিতে পারবো।
আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী বলেন, আবাসন ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবাসন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে এক সঙ্গে করে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা গেলে এ ভোগান্তি কমবে বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান কামাল মাহমুদ।
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের চার দিনব্যাপী এ আবাসন মেলার উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এবারের মেলায় সাতটি নির্মাণ ও ১১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৭৬টি স্টল থাকছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় যেতে পারবেন। মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। একবার প্রবেশের জন্য ৫০ টাকার টিকিটের পাশাপাশি ৪ বার প্রবেশের জন্য মাল্টিপল টিকিট রয়েছে ১০০ টাকায়। প্রতিদিন প্রবেশ টিকিটের ওপর র্যাফেল ড্রতে থাকবে আকর্ষণীয় উপহার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এমআর/টিসি