বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রেনজি তিরিংক এসব কথা বলেন।
এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য উপদেষ্টা আবু সাইয়েদ মো. বেলাল, স্পেনের রাষ্ট্রদূত মি. আলবারো ডিসালাস, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি. হেরি ভারুইজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত মি. এনরিকো নুনজিয়াতা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূতরা নগর ভবনে পৌঁছালে মেয়র স্বাগত জানান এবং ফুলেল শুভেচ্ছাসহ চসিকের স্মারক উপহার দেন।
প্রতিনিধি দলের নেতা তিরিংক বলেন, ইইউ বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষেত্রে বড় উন্নয়ন অংশীদার।
তিনি বলেন, কয়েক দশকে বাংলাদেশের পরিবর্তন লক্ষণীয় এবং এখানে উন্নত নগরায়ণ ঘটেছে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, সাগর-নদী সবকিছু মানুষকে আকৃষ্ট করে।
প্রতিনিধি দলের নেতা তিরিংক বর্তমানে নগরীর চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরের বড় সমস্যা।
তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম নগরীর জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানসহ অপরাপর খালগুলো গভীর ও প্রশস্থ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে চট্টগ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কর্ণফুলী নদী ভরাট, সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
মেয়র বলেন, বর্তমানে একটি মাস্টারপ্ল্যান নবায়নের কাজ চলছে। এ পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম নগরীকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বন্দরনগরী ও বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা থাকবে বলে তিনি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের অবহিত করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের নেতা তিরিংক অর্থনীতির সুফল দেশের সব মানুষের মধ্যে সমবণ্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রবৃদ্ধির সুফল সবার মধ্যে সুষম বণ্টন নিশ্চিত না হলে দারিদ্র্য পুরোপুরি বিমোচন হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এআর/টিসি