ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিআইইউর ইংরেজি বিভাগের মন মাতানো পিকনিক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
সিআইইউর ইংরেজি বিভাগের মন মাতানো পিকনিক সিআইইউর ইংরেজি বিভাগের মন মাতানো পিকনিক

চট্টগ্রাম: পাহাড়ি উচুঁ-নিচু আঁকা-বাঁকা সড়ক। গাড়ি চলেছে মনের টানে। ভেতরে চলছে হই-হুল্লোড়। কখনও গলা ছেড়ে গান। আনন্দ আর আড্ডা।

সব-ই যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) ইংরেজি বিভাগ আয়োজিত ২০১৯ সালের বার্ষিক পিকনিকে।  

গন্তব্য ছিল চট্টগ্রাম থেকে মানিকছড়ি।

হবে না-ইবা কেনো? বছর জুড়ে ক্লাস পরীক্ষা। কখনও অ্যাসাইনমেন্ট।
ব্যস্তময় ক্যাম্পাস জীবনে তাই বন্ধুরা মিলে একটু প্রাণখুলে কথা বলার জন্য ছিলো শুধুই অপেক্ষা।

সম্প্রতি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই পিকনিকের আয়োজন করে। এতে আনন্দঘন মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন সিআইইউর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরাও। সারাদিন ঘোরাঘুরি, খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়াসহ আরও কত্ত কী.......।

খু-উ-ব সকালে কাঁক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে নির্ধারিত স্থানে বাস ধরতে হাজির শিক্ষার্থীরা। আগের দিন পিকনিকে যাওয়া নিয়ে ছিল নানা জল্পনা কল্পনা। কেউ কেউ মোবাইলে বন্ধুদের ডেকে দেওয়ার কথা বললেও বাস ছাড়ার আগে তাদের অনেককে দেখা যায় চোখ ঢলতে-ঢলতে এসে পৌঁছাতে।

ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা বাজতেই চারটি বাস চলতে শুরু করে মানিকছড়ির উদ্দেশ্যে। কোনো রকম বিরতি ছাড়াই দুপর গড়ানোর আগেই বাস পৌঁছে যায় পাহাড়ি কন্যার কাছে।

ক্রিকেট খেলায় নেমে পড়েন ছাত্র-শিক্ষকদের অনেকে। দুই একজনকে দেখা গেলো নদীতে নৌকো ভ্রমণে। কেউবা আবার সেলফি তুলতে বন-বাদাড়ে ঘোরাঘুরিতে। মানিকছড়ির সৌন্দর্য্টাই অন্যরকম।

চারপাশে ছোট ছোট টিলা। একপাশে ফল চাষ, বাঁশ আর কৃষিকাজ, অন্যপাশে কেবল সবুজের সমারোহ। স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস-এর ডিন কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ স্যারের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে অন্য এক মানুষকে যেন খুঁজে পেলেন শিক্ষার্থীরা।

ইংরেজি বিভাগের প্রধান সার্মেন রড্রিক্স বলেন, শহর ছেড়ে একেবারে দূরে প্রকৃতির রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার এ এক দারুণ অনুভূতি। ভালো লেগেছে সবাই মিলে সময় কাটাতে পেরে।

সহকারী অধ্যাপক রিফাত তাসনীম বলেন, মানিকছড়ির পরিবেশটা বেশ শান্ত। এখানে এলে মনটা সাদা মেঘ হয়ে উড়ে যেতে চাইবে। ইংরেজি বিভাগের পারিবারিক এই বন্ধন সারাজীবন অটুট থাকবে- এমনটা চাওয়া আমার।

শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও সময় কাটিয়েছেন আনন্দ নিয়ে। তাদের ভাষায়, ক্লাস রুমের বাইরে এমন সময়গুলো ভবিষ্যতে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।

কৃতী ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একসময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পন্ন করে কর্মজীবনে চলে যাবো। এই ধরনের মুহূর্ত হয়তো আর ফিরে পাবো না। তখন ভীষণ মনে পড়বে সবাইকে।

একই রকম অনুভূতির কথা জানালেন তাসরীন, সাকি, তাবাস্সুম, রানাসহ অনেক শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।