সোমবার (১১ মার্চ) দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে নালা থেকে মাটি তোলার কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।
মেয়র বলেন, এ বছরও চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে না।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমি নগরের কোনো না কোনো এলাকা পরিদর্শন করছি। আমি দেখেছি, নগরের বেশিরভাগ নালা ভরাট হয়ে আছে। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর আগে জোয়ারের পানি ধরে রাখার জন্য আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করে তারা। এখনো পর্যন্ত এগুলোর আশানুরূপ কাজ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এ সপ্তাহের মধ্যে চসিক, সিডিএ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন করবে চসিক।
তিনি বলেন, এর আগেও আমরা জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। এ কাজের বিপরীতে প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ চেয়েছিলাম। তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন জনগণের কল্যাণের জন্য, দুর্ভোগ নিরসনের জন্য। শুধু সিডিএর প্রকল্প নয়, ওয়াসা পিডিবিকেসহ মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে সিডিএর প্রকল্পটি শুরু হয়। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এখনো প্রকল্পের ন্যূনতম কাজও করা হয়নি। এমতাবস্থায় জলাবদ্ধতার ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আমাকে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার। এক্ষেত্রে প্রকল্পের আওতায় ড্রেন, নালা পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সাব কন্ট্রাক্টে হলেও সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া দরকার। এ কাজে সিটি করপোরেশনের পূর্ব অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় জনবলও রয়েছে।
নালার ২১৫ টন মাটি উত্তোলন
চসিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ৫টি ওয়ার্ডের নালা থেকে ২১৫ টন মাটি তোলা হয়। ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে দেওয়ান বাজার থেকে ৩০ টন, আন্দরকিল্লা থেকে ৪৫ টন, জামালখান থেকে ৩০ টন, দক্ষিণ পতেঙ্গা থেকে ৭৫ টন, উত্তর পতেঙ্গা থেকে ৩৫ টন মাটি তোলা হয়। আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত এ ওয়ার্ডগুলোতে মাটি তোলার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বর্ষার আগে জরুরি ভিত্তিতে ৪১ ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা থেকে মাটি-আবর্জনা পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। চসিকের নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রতিদিন ৫ ওয়ার্ডে এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এতে ২৫০ জন সেবক নিয়োজিত রয়েছে।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আনজুমান আরা বেগম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এআর/টিসি