রোববার (১০ মার্চ) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ আবদুল্লাহ।
গ্রেফতার দুইজন হলেন- সুয়াবিল ইউনিয়নের বারমাসিয়া গ্রামের দক্ষিণ হিন্দু পাড়া এলাকার সুনীল ধরের ছেলে গৃহবধূর স্বামী সুরঞ্জিত ধর (২৭) ও ননদ তমা ধর (২০)।
এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে চন্দা ধরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চন্দা ধর বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী গ্রামের মৃদুল ধরের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মৃদুল ধর বাদী হয়ে নিহতের স্বামী সুরঞ্জিত ধর, দেবর রাহুল ধর, শ্বশুর সুনীল ধর, শাশুড়ি প্রীতি ধর, স্বামীর বোন জয়া ধর ও তমা ধরকে আসামি করে ভূজপুর থানায় মামলা করেন।
নিহতের বোন ববি ধর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগামি বুধবার দিদির শ্বশুর বাড়িতে স্বাদ ভক্ষণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলতে বাবাসহ আমাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়েছিলেন শনিবার সকালে। সন্ধ্যায় ফেরার পর দিদির শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন আসে-দিদির সমস্যা হয়েছে আমরা যেন আবার সেখানে যাই। পরে আমরা গিয়ে দেখি খাটের উপর দিদির মরদেহ রেখে তারা সবাই পালিয়ে গেছে। ’
‘তারা দিদিকে মেরে ফেলে আমাদের খবর দিয়েছে। অনুষ্ঠানের জন্য টাকা চেয়েছিল বাবার কাছে। এ নিয়ে দিদি প্রতিবাদ করায় তাকে খুন করা হয়েছে। ’ অভিযোগ করেন ববি ধর।
ওসি মো. শেখ আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘চন্দা ধর নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। স্বামী সুরঞ্জিত ধর ও ননদ তমা ধরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে এটি হত্যা কী না। ’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এসকে/টিসি