ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভায়োলিনিস্টস চট্টগ্রামের আয়োজনে বেহালাসন্ধ্যা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
ভায়োলিনিস্টস চট্টগ্রামের আয়োজনে বেহালাসন্ধ্যা ভায়োলিনিস্টস চট্টগ্রামের আয়োজনে বেহালাসন্ধ্যা

চট্টগ্রাম: শুধু বেহালা দিয়ে সংগীতের আয়োজন খুব একটা চোখে পড়ে না। শ্রুতিমধুর এই বাদ্যযন্ত্রটি দিয়ে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে শনিবার (৯ মার্চ) হয়ে গেল অন্যরকম বেহালা সন্ধ্যা।

চট্টগ্রামের বেহালা শিল্পীদের সংগঠন ভায়োলিনিস্টস চট্টগ্রাম সংগঠনের ৮ম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ বেহালা সন্ধ্যা আয়োজন করা হয়।

শুরুতে ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানটি দিয়ে বেহালায় সমবেত পরিবেশনা।

ত্রিশজনের পরিবেশনায় বেহালার রিনরিনে বৃন্দসুর যেন ছুঁয়ে গিয়েছিল হলভর্তি দর্শকদের মনও।

এরপর বেহালায় রাগ ভূপালী ও রাগ যোগ পরিবেশন করে শোনান সংগঠনের সভাপতি ডা. তন্ময় সরকার ও আনিলা নওশীন মাহিতা।

পরবর্তী পরিবেশনা ছিল সংগঠনের প্রশিক্ষক প্রিয়তোষ বড়ুয়া, ডা. রিংকি শর্মা ও স্নিগ্ধা দেব এই তিনজনের সমবেত বাদন রাগ দেশ।

আয়োজন ছিল কথামালারও। প্রকৌশলী রাশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কথামালায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর আনোয়ারা আলম, বিস্তার চট্টগ্রাম আর্টস কমপ্লেক্স’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলম খোরশেদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বড়ুয়া।

আনোয়ারা আলম বলেন, সুরের মাঝে নিমগ্ন হয়ে আমরা যেন একটি সুন্দর সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আলম খোরশেদ বলেন- এই সময়ে তরুণ প্রজন্মের এতজন শিল্পী ভায়োলিন চর্চা করছে এটা আনন্দের বিষয়। এখান থেকে ভবিষ্যতে বড় শিল্পী আমরা পাব এই কামনা।

২য় পর্ব শুরু হয় ‘সুন্দর সুবর্ণ’ এই গানের সুরে সমবেত বেহালার বাদন দিয়ে। পরে রওনক ইবতিসামা ও সাজ্জাদুল ইসলাম পরিবেশন করেন ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ ও ‘হয়তো তোমারি জন্য’ এই গান দুটি। স্নিগ্ধা দেব, রিংকি শর্মা ও আনিলা মাহিতা বাজিয়ে শোনান- ‘সবকটা জানালা’, ‘তুমি কোন কাননের ফুল’ ও ‘নয় নয় এ মধুখেলা’ এই গানগুলি। ডা. তন্ময় সরকার বাজিয়ে শোনান- 'কী আশায় বাঁধি খেলাঘর' গানটি।

ছিল ছোটদের সমবেত পরিবেশনাও। তারা বেহালায় পরিবেশন করে ‘ও পলাশ ও শিমুল’ এবং ‘ও ভাই আঁরা চাঁটগাইয়া’ এই জনপ্রিয় গানগুলি। রাগ ইমনের সমবেত উপস্থাপনা দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনায় ছিলেন প্রিয়তোষ বড়ুয়া। তবলায় ও কী বোর্ডে সহযোগিতা করেন ত্রিদীপ বৈদ্য ও সৃজন রায়। গিটার ও অক্টোপ্যাডে ছিলেন পরাগ বড়ুয়া ও সালাউদ্দিন মো. রুবাইয়েত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।