বিশেষ করে হালিশহর, পাথরঘাটা, পতেঙ্গা এলাকায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরেই চলছে। দিনের বেলায় গ্যাসের চাপ কম থাকে।
হালিশহর বি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় সময় দিনের বেলায় গ্যাস সংকট থাকছে। মাঝে-মধ্যে গ্যাসের চাপ কম থাকে আবার কোনো সময় একেবারে থাকে না। এতে ভোগান্তি লেগেই আছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) সূত্র জানায়, এলএনজি থেকে চট্টগ্রামে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়া হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামের চাহিদা মিটছে, পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডের দৈনিক ২১০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। ১২০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে, যা ঢাকাসহ অন্য অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কিন্তু এরপরও কেনো গ্যাস সংকট? কেজিডিসিএলের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নগরের ওইসব এলাকায় গ্যাস সংকটের একমাত্র কারণ পাইপলাইন। গ্যাসের পাইপলাইন সরু হওয়ার কারণে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ যাচ্ছে না । ফলে গ্যাস সংকট দেখা দিচ্ছে।
কেজিডিসিএলের প্রকৌশল সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে। এরপরও বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটের কারণ হলো- পাইপলাইনের সমস্যা। গ্যাসের পাইপলাইনগুলোকে ব্যালেন্সিং করতে হবে। লাইনগুলোকে ইন্টারলিংক করতে হবে। ইন্টারলিংক করার পর গ্যাসের চাপ বাড়াতে হবে। তা হলে ওইসব এলাকায় আর গ্যাস সংকট থাকবে না।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, যে কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের লাইনে সমস্যা আছে সেগুলো সংস্কার করার ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শিগগির এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি