এসব কিছুর একটাই ঠিকানা- পাহাড়, ঝর্না, লেক আর জীববৈচিত্রের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈসর্গিক এ সৌন্দর্য ক্যানভাসে তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দীপ্র বনিক ঈশান।
বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত ‘রং তুলিতে চবি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী রোববার (৩ মার্চ) উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে দীপ্র বনিক ঈশান বাংলানিউজকে জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই সবুজ এ ক্যাম্পাসের মায়ায় পড়ে যাই। চবির অনুপম সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই। এরপর থেকেই চবির বৈচিত্রময় নানা স্থাপনা ও স্থান নিয়ে জল রং দিয়ে ছবি আঁকা শুরু করি।
তিনি বলেন, গত তিন বছরেরও বেশি সময়ে শ’খানেক ভালো মানের ছবি আঁকা শেষ হয়। এরপর এসব ছবি নিয়ে একটি একক চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা নিই। প্রথমে একক চিত্র প্রদর্শনীর মতো বড় এবং ব্যয়বহুল আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়লেও উপাচার্য স্যার এবং চবি ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত সফল হই।
‘সামনের দিনগুলোতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। ’- বলেন দীপ্র বনিক ঈশান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সব সময় চেষ্টা করি, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলকাজে উৎসাহ দিতে। আমাদের যতটুকু সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা করতে। ঈশানকেও তার সৃজনশীলতার বিকাশে আমরা সহায়তা করেছি।
সাবেক সহ সভাপতি মনসুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঈশান আমাদের ছোট ভাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তার ছবিতে ফুটে উঠেছে। ঈশানের অসাধারণ এ প্রতিভা আবারও প্রমাণ করেছে ছাত্রলীগ মেধাবীদের সংগঠন। আমরা এসব মেধাবী নেতা-কর্মীদের পরিচর্যা করে দেশের জন্য বড় সম্পদে পরিণত করতে চাই।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরতে ঈশান যে কাজটি করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এটিই প্রথম। চবির নৈসর্গিক সৌন্দর্য ছবির মাধ্যমে সে যেভাবে তুলে ধরেছে তাতে আমরা অভিভূত। বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর থেকে ভালোবাসে বলেই তার অবস্থান থেকে সে এ কাজটি করেছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে সব সময় সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবিষ্কার আর সৃজনশীল কাজে মেতে থাকুক। দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখুক।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমআর/টিসি