শনিবার (২ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম দিয়েই বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রীসভার প্রতিটি সদস্য দেশের উন্নয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা অঙ্গীকার করেছি। সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা ইতোমধ্যে কাজও আরম্ভ করে দিয়েছি। আশা করি এর সুফল জনগণ পাবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেওয়া হয়নি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশীরা এখন ভিক্ষুকের জাতি নয়, মিসকিনের জাতি নয়। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আমরা স্থান করে নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, এখানে যারা বসে আছি আমরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। ভিন্ন ভিন্ন মত থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো একটা। সেই লক্ষ্যটা হলো- চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা। চট্টগ্রামকে দৃষ্টিনন্দন করা। চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ছিলো বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর।
আশা করি তার অনুজ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম আরও সুন্দর হবে। আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামবাসীর পাশে প্রধানমন্ত্রী আছেন। এ কারণে চট্টগ্রামের প্রতিটি প্রকল্প তিনি পাশ করিয়ে দেন। চট্টগ্রামের একটি উন্নয়ন প্রকল্পও তিনি বাদ দেননি। গত একনেকের সভায়ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রাম দ্রুত এগিয়ে যাবে। দেশেরও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
এমআর/এসইউ/এসি/টিসি