বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।
২৪ ফেব্রুয়ারি বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পাইলট তা জরুরি অবতরণ করান।
পলাশ আহমেদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে।
এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরের পতেঙ্গা থানায় পলাশ আহমেদ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার। এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার আলামত আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জব্দ করেছে। আদালতের নির্দেশক্রমে আলামতগুলো সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। বিমানের পাইলট, ক্রু, প্রতক্ষ্যদর্শীসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ’
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগ মামলাটি তদন্ত করছে। তাদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য। ’
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ১১ জুন মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ২ বছর ৮ মাস পার হলেও তদন্ত শেষ করতে পারেননি নগর গোয়েন্দা পুলিশের বর্তমান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বেলুন উড়িয়ে সিএমপির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদযাপন কমিটির সভাপতি সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিআইজি কুসুম দেওয়ানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) ১০০ মিটার দৌড়, পুরুষ কনস্টেবলদের ১০০, ২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়, নারী কনস্টেবলদের ১০০ মিটার দৌড়, সহকারী পু্লিশ কমিশনারদের ৮০ মিটার দৌড়, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের ৮০ মিটার হাঁটা, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, অ্যালার্ম প্যারেড, সুরের তালে বালিশ বদল, বালিশ যুদ্ধ, বেলুন ফুটানো, যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতাসহ ৩২টি ইভেন্টে সিএমপির সদস্যরা অংশ নেন।
পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও তার স্ত্রী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কেন্দ্রীয় সভানেত্রী হাবিবা হোসেন। এসময় সিএমপির পুনাক সভানেত্রী মির্জা মাহবুবা মোস্তফাসহ পুনাক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসকে/টিসি