ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চোখ জুড়ালো হরেক প্রাণীর মেলায়

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
চোখ জুড়ালো হরেক প্রাণীর মেলায় হাতের ওপর বসে থাকা পাখিটা বাড়িয়েছে তরুণীর উচ্ছ্বাস। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: হরেক রঙের পাখি দেখে কেউ বিস্ময় প্রকাশ করছেন, আবার কেউ মোবাইল ফোনে তুলে রাখছেন ছবি। হাতের ওপর উঠে আসা হলুদবরণ পাখিটা দেখে বেশ আনন্দই পেয়েছেন মেয়েটা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) দিনব্যাপী ৪র্থ পোষা পাখি, কবুতর ও পোষা প্রাণীর মেলায় দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মেলা উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

মেলায় পাখি দেখতে ভীড় দর্শনার্থীদের।  ছবি: উজ্জ্বল ধরএসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আবদুল হালিম, রেজিস্ট্রার মির্জা ফারুক ইমাম, বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুদ্দীন, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম খান, প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস, প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক মিয়াজী ও ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন।

মেলা উদ্বোধনের সময় ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনা, মোনাজাত ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

প্রদর্শনীতে রাখা পাখি।  ছবি: উজ্জ্বল ধরচট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন, এনিম্যাল কেয়ার অব চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম হাইফ্লায়ার জোন, অ্যাসোসিয়েশন অব এভিয়ান ভেটেরিনারিয়ান বাংলাদেশ ও বার্ডস অ্যান্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিকস্ যৌথভাবে এ মেলা আয়োজন করে।

মেলায় প্রায় ৮০ প্রজাতির পাঁচ শতাধিক পাখি, টার্কি, খরগোশ, ১০ প্রজাতির ৪৫টি উন্নত জাতের কুকুর, ৫ প্রজাতির ১৬টি বিড়াল, ১০টি বিরল প্রজাতির খরগোশ এবং ১০০ প্রজাতির অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছসহ বিভিন্ন জাতের পোষা প্রাণী প্রদর্শন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবকদের কাঁধে বসে থাকা পাখি।  ছবি: উজ্জ্বল ধরপ্রদর্শিত পাখিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- বাজেরিগার, কুনোর, লরি, ককাটাইল, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ব্লু-হেডেড ম্যাকাও, কেকালিনা কাকাতুয়া, গ্রে-প্যারট, র‌্যাম্প, ক্রিমসন, ভেলিট কুনোর, রুবিনো, রোজিলা, মিলি রোজেলা, ক্লু-ক্রাউন কুনোর, রেডলরি ও ক্যাটরিন লরি।

এছাড়া রঙ-বেরঙের কবুতরের মধ্যে হাউজ পিজিওন, পোমারিয়ান পোটার, ফিন্ডব্যাক, সর্ট ফেইস, লং ফেইস, হোয়াইট টপ বোখারা, মন্টেনা, ফ্রেঞ্চ মন্ডেইন, মংক কোমরনা, মুক্ষী, সাটিন, পেন্সিল বল, রেন্টি, আর্চ অ্যাঞ্জেল, গ্রিজেল, ব্লু চেক, কাচুরী, নোল্ডেন, ম্যাকপাই পোর্টার দৃষ্টি কেড়েছে সবার।

মেলায় স্বেচ্ছাসেবকরা দর্শনার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন এসব প্রাণীর সাথে। অনেকে কিনে নিয়ে যান পছন্দের পাখি, জেনে নিয়েছেন এগুলোর পালন পদ্ধতি সম্পর্কে।

খাঁচায় থাকা হরেক রঙের পাখি।  ছবি: উজ্জ্বল ধরসিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, পোষা পাখি ও প্রাণী পালনকে যারা পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী, তাদের জন্য এ মেলা সহায়ক হবে। বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সৌখিন পাখির লিঙ্গ নির্ণয় করতে সক্ষম হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণেই ক্রেতারা স্ত্রীলিঙ্গ ও পুংলিঙ্গ নিশ্চিত হয়ে পাখি কেনার সুযোগ পেয়েছেন।

প্রতিবছর এ মেলা আয়োজনের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিভাসু উপাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।