শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় লালখান বাজার মোড় থেকে নিশানকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার সমর্থকরা। পরে রাত ১টার দিকে টাইগারপাস এলাকার পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোলাম রসুল নিশান চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি ও ‘উল্কা’ গ্রুপের সমর্থক।
নিশানকে অপহরণের খবরে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট ও জিরো পয়েন্টে অবরোধ করে তার অনুসারীরা।
আহতদের মধ্যে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মিলন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শামীম, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ধ্রুব ও আনিস, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল ইসলাম, মামুন ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অর্ণব ইসলাম, আরবি বিভাগের ইমাম, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অভয় ও সৌরভ তালুকদার এর নাম জানা গেছে। তাদের কয়েকজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উল্কা গ্রুপের নেতা সুমন খানের অভিযোগ, ‘সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে। সেখান থেকে ফেরার সময় সহ সভাপতি মনসুর আলম, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল টিপু এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশের ইন্ধনে গোলাম রসুলকে অপহরণ করার ঘটনায় এ সংঘর্ষ হয়।
তবে মনসুর আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গোলাম রসুল নিশানকে অপহরণের ঘটনায় আমাদের কোন নেতা-কর্মী জড়িত ছিল না। তাকে অপহরণের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তারা এ ধরণের অভিযোগ করছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি