ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভাষা দিবসে নানা আয়োজন ইডিইউতে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
ভাষা দিবসে নানা আয়োজন ইডিইউতে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ইডিইউর উপাচার্য ও মহাপরিচালক।

চট্টগ্রাম: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের আলো ফুটতেই ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে জড়ো হয় ইডিইউ পরিবারের সবাই। বেজে ওঠে কালজয়ী সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।

ভোরে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের নেতৃত্বে প্রভাত ফেরীর মধ্যদিয়ে ইডিইউ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বোর্ড অব ট্রাস্টি, উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, তিন স্কুল, ফ্যাকাল্টি, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের।

পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, একটি জাতির পরিচিতি তার ভাষায়। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতিসত্তাকে মুছে ফেলতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু হাজার বছরের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতি এর প্রতিবাদ করে নিজের মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছিলো।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা বলেন, ভাষা আন্দোলন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছিলো না। সূদূরপ্রসারী ছিলো এই আন্দোলনের প্রভাব। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের সূত্রপাত ছিলো এ আন্দোলন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভিত গড়ে দিয়েছিল বায়ান্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দেশভাগ পরবর্তী ক্রান্তিকালে বাঙালি জাতির ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণকারী ঘটনাও এ আন্দোলন। ভাষার মর্যাদা রক্ষার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন সালাম-বরকতেরা, তা আমাদেরও অনুসরণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি ভাষার গ্রহণযোগ্যতা গড়ে ওঠে গবেষণায়। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি গবেষণার প্রতি আন্তরিক ও মনোযোগী। ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাঠামো গড়ে তুলেছে ইডিইউ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাপরিচালক সৈয়দ শফিকউদ্দীন আহমেদ, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী, সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমেদ সিগমা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad