গত কয়েকদিন নগরের কদমতলী, আগ্রাবাদ, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হেলমেটের দোকান ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দোকানিদের দেওয়া তথ্যমতে, গত দশ দিনে চট্টগ্রামে অন্তত ৬ হাজারের মতো বিভিন্ন আকারের হেলমেট বিক্রি হয়েছে।
চকবাজার এলাকার ফার্স্ট মোটর্সের মালিক আশরাফুল আব্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগের চেয়ে হেলমেটের বিক্রি বেড়েছে। আগে দিনে ৬ থেকে ৭টি বিক্রি হলেও গত কয়েকদিনে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি করে বিক্রি হয়েছে। ’
কদমতলী এলাকার মা এন্টারপ্রাইজের মালিক নাহিদ আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার দোকানে গত দশ দিনে প্রায় ৭০০ হেলমেট বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল ক্যাপ হেলমেট ও মাঝারী আকারের হেলমেটের। আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি করে হেলমেট বিক্রি হতো। ’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নগর এলাকায় মোটর সাইকেলে পেছনের আরোহীর হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করে। হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীদের আর্থিক জরিমানা ও মামলা দেয়া হয়েছে। এর ফলে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর রাইডাররা হেলমেটের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুলিশের নির্দেশনা মেনে মোটর সাইকেল আরোহীরা হেলমেট ব্যবহার করছেন। যারা নির্দেশনা মানছেন না তারা মামলা ও আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন হচ্ছেন। হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ’
কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘মোটর সাইকেল আরোহীর হেলমেট না থাকার কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে।
এখনও শতভাগ ব্যবহার না হলেও ভবিষ্যতে সব মোটর সাইকেল চালক ও আরোহী হেলমেট ব্যবহার করবেন বলে আশা করছেন কুসুম দেওয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি