বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দারুল উলুম মাদ্রাসায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
সুজন বলেন, সরকার মাতৃভাষা বাংলা সর্বস্তরে চালু করার জন্য আন্তরিক।
উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং সাংস্কৃতিক জীবনেও বাংলাভাষাকে অবজ্ঞা করার একটা কালচার সর্বত্র গড়ে উঠেছে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রভাষক মাওলানা মাহবুবুর রহমান এবং প্রভাষক মুহাম্মদ কাসেমের সঞ্চালনায় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল। বিশেষ আলোচক ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ, হাফেজ মাওলানা হারুনুর রশীদ, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আনোয়ার হোসাইন এবং মাওলানা মুনিরুল মন্নান আল মাদানী।
নাজিমুদ্দীন শ্যামল বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সত্যিই সৌভাগ্যবান কারণ তারা মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশি আরেকটি ভাষায় জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। আরবি ভাষার যে নির্যাস রয়েছে ঠিক তেমনি মাতৃভাষা বাংলারও যে নির্যাস রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করার কাজ করতে পারে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। জ্ঞানের দুই ভান্ডারের যোগসূত্র হিসেবেও কাজ করতে পারে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে ঘটেছিল বাঙালির ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার ঘটনা। ইতিহাসবিদদের মতে, ভাষার প্রশ্নে একুশের আন্দোলন হলেও প্রকৃত প্রস্তাবে তা ছিল শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ। একুশ তাই বাঙালির চেতনার প্রতীক। পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় উচ্চারিত হয় একেকটি নাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এআর/টিসি