চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের আয়োজনে প্রথমবারের মতো সম্মিলিত এই বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন উন্মোচন হচ্ছে নতুন নতুন বইয়ের মোড়ক। লেখক-পাঠকদের আড্ডা, মঞ্চে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহাসিক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীও চলছে প্রতিদিন।
এবারের বইমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭টি প্রকাশনীর ১১০টি স্টল রাখা হয়েছে।
এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আহারের টাকা জোগাতে বিদ্যানন্দ প্রকাশনীর উদ্যোগে ‘বিক্রেতাবিহীন স্টলের’ সামনে গিয়ে উঁকি দিতে কিংবা বই পড়তে লেগে আছে ভীড়।
জিমনেসিয়াম মাঠের ৮০ হাজার ৩০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে আয়োজিত ১৯ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলার গত ১২ দিনে বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে বলে জানালেন কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধাররা। তারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, শিশুরা কিনছে তাদের পাঠোপযোগী বই, বিজ্ঞানভিত্তিক বই কিনছে কিশোর-তরুণরা, টিনএজরা কিনছে ভালোবাসার গল্পের বই।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, আগামী, কাকলী, ইউপিএল, অক্ষরবৃত্ত, ভাষাচিত্র, অনুপম, অন্যপ্রকাশ, বলাকা, পূর্বা, রঙপেন্সিল, অনন্যা, অনিন্দ্য, প্রথমা, পেন্সিল, মনন, নন্দন, আদিগন্ত, শিশুপ্রকাশ, শৈলী, প্রজ্ঞালোক, খড়িমাটি, শালিক, চন্দ্রবিন্দু, আবির প্রকাশন, বাতিঘর, কথনসহ প্রায় সব স্টলেই দেখা গেছে দম ফেলার ফুরসত মিলছে না বিক্রয়কর্মীদের। কেউ কেউ নজর রাখছিলেন বই চুরি হচ্ছে কিনা-সেদিকেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এসি/টিসি