বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় হাজারো মানুষের ভিড়ে নজর কাড়ে লক্ষ্মী।
সকালে ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে অর্পিত ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ বেদি।
ঘোষণামঞ্চে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল ও বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্ব দেন সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, একুশ আমাদের জন্য গর্বের। বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকারের দাবিতে ঢাকার মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন অনেকে। এটি বেদনার। আবার এ দিনটি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এটি আনন্দের। শহীদ মিনারে মানুষের ঢল দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।
সকালে ফুল দিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, লায়ন্স ক্লাব, সরকারি সিটি কলেজ, খেলাঘর, ধ্রুবতারা স্কুল, শতায়ু অঙ্গন, সংগীত পরিষদ, অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সীতাকুণ্ড সমিতি, ছাত্রলীগ, চবি ২৪তম ব্যাচ, উত্তর জেলা বিএনপি, পাবনা- সিরাজগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি, চট্টগ্রাম যন্ত্রশিল্পী সংস্থা, আইন সহায়ক কেন্দ্র, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ, অনোমা, নগর ফুলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মিল্টন নাথ দেড় বছরের ছেলে অরিত্র ও ছয় বছরের আদিত্যকে নিয়ে যখন ফুল দেন তখন ৯টা ৪০।
মিল্টন নাথ বাংলানিউজকে বলেন, সন্তানদের শিশুমনে একুশের চেতনার বীজ বপন করতে প্রতিবছর তাদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসি।
সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ঝরনা খানম বলেন, একুশ আমাদের অহংকার। তাই শিক্ষকদের নিয়ে এসেছি শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।
আবুল কালাম আজাদ কোলে করে আনে শিশু অরণ্য আজাদকে। বাবা-ছেলে দুজনের পরনে ছিল একুশের পাঞ্জাবি। অরণ্যের মায়ের পরনে কালো শাড়ি। অনেকে বর্ণমালা ছাপানো শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ পরে আসেন শহীদ মিনারে। কেউ হাতে করে নিয়ে আসে বর্ণিল বর্ণমালা। কারও বুকে ছিল কালো ব্যাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি